ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হতে চলেছে হাওড়া স্টেশন। কারণ প্রতিদিন অসংখ্য ট্রেন যাত্রী মেট্রোর মাধ্যমে যাতায়াত করবেন। সময় বাঁচাতে ট্রেন যাত্রীরা মেট্রোতে করে পৌঁছে যাবেন কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া স্টেশনটি তৈরি হচ্ছে মাটির নীচে প্রায় ৩০ মিটার গভীরে। যা প্রায় ১০ তলা বাড়ির সমান।
প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী যাতে সহজেই এই মেট্রো স্টেশনে যাতায়াত করতে পারেন তার জন্য ২৭ এসকেলেটর বসছে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে। যার মধ্যে দুটি এসকেলেটর উচ্চতা প্রায় চার তলা বাড়ির সমান। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, এর আগে দেশের মেট্রো স্টেশনগুলির মধ্যে উচ্চতম এসকেলেটর ছিল দিল্লির জনকপুরী ওয়েস্ট স্টেশনে। এবার সেই এসকেলেটর টেক্কা দিতে চলেছে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের এই এসকেলেটর।
২৭ টি এসকেলেটর ছাড়াও হাওড়া মেট্রো স্টেশনে থাকছে সাতটি লিফট। মাটির ৩০ মিটার নিচে থাকা এই মেট্রো স্টেশনকে পাঁচটি তলে বিভক্ত করা হয়েছে বলে মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিটি তলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ মিটার। অর্থাৎ একটি তলের উচ্চতা প্রায় দু'তলার সমান। একেবারে উপরে যে তল থাকছে, তাকে মেট্রোর পরিভাষায় হয় আপার কনকোর্স। এই তলে যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। একেবারে নীচের তলে বা লোয়ার কনকোর্সে মেট্রো ধরার জন্য যেতে গেলে যাত্রীদের ব্যবহার করতে হবে আরও দুটো এসকেলেটর। মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, লোয়ার কনকোর্স থেকে আপার কনকোর্সের উচ্চতা ২২ মিটার। এত বড় এসকেলেটর বসানোর ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুবই জরুরি। সেই কারণে এসকেলেটরটি যাত্রীদের চাপ যাতে সহজেই সামাল দিতে পারে তার জন্য ৩০ ডিগ্রির মধ্যে এই উচ্চতাকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।