India's oldest pending case settled: ৭২ বছরে 'তারিখ পে তারিখ', কলকাতা হাইকোর্টে নিষ্পত্তি দেশের সবথেকে পুরনো মামলার

India's oldest pending case settled: কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৫১ সালে দায়ের হওয়া যে মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে গত সপ্তাহে, সেই মামলার শিকড় লুকিয়ে আছে ১৯৪৮ সালের ১৯ নভেম্বরে। অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের জন্মের আগেও সেই মামলা দায়ের হয়েছিল।

অবশেষে নিষ্পত্তি হল ভারতের সবথেকে পুরনো মামলার। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)

অবশেষে নিষ্পত্তি হল ভারতের সবথেকে পুরনো মামলার। ৭২ বছর ধরে আইনি লড়াইয়ের পর গত সপ্তাহে সেই মামলায় নিষ্পত্তি করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বেঞ্চ। যা দেশের প্রাচীনতম হাইকোর্ট। তবে যে সংস্থা ওই মামলা দায়ের করেছিল, সেই সংস্থার কয়েকটি মামলা এখনও অন্য আদালতে ঝুলে আছে।

কত সালে সেই মামলা দাখিল করা হয়েছিল? 

তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫১ সালে সেই মামলা দাখিল করা হয়েছিল। তৎকালীন বহরমপুর ব্যাঙ্ক লিমিটেডের দেউলিয়া ঘোষণা করা নিয়ে সেই মামলা চলছিল। হাইকোর্টে ১৯৫১ সালে দায়ের হওয়া যে মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে গত সপ্তাহে, সেই মামলার শিকড় লুকিয়ে আছে ১৯৪৮ সালের ১৯ নভেম্বরে। হাইকোর্টের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যা সেদিনই নথিভুক্ত হয়েছিল। তাতে নম্বর মিলেছিল - 'কেস নম্বর ৭১/১৯৫১'। অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের জন্মের আগেও সেই মামলা দায়ের হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটের মধ্যেই গত বছর সেপ্টেম্বরে দু'বার হাইকোর্টে মামলাটি উঠেছিল। কিন্তু কেউ সেই মামলায় হাজির হননি। তারপরই রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ১৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল যে ২০০৬ সালের অগস্টেই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা নথিতে তোলা হয়নি। তাই মামলাটি 'পেন্ডিং লিস্ট'-এ পড়েছিল বলে সামনে আসে।

তবে শুধু এই মামলা নয়, বহরমপুর ব্যাঙ্ক লিমিটেড সংক্রান্ত আরও কয়েকটি মামলা ঝুলে আছে। যা দেশের অন্যতম পুরনো মামলার তালিকায় আছে। সেগুলি হাইকোর্টে মামলা দায়েরের এক বছর পর (১৯৫২ সাল) দাখিল করা হয়েছিল। দুটি দেওয়ানি মামলা পশ্চিমবঙ্গের মালদা সিভিল কোর্টে চলছে। অপর একটি মামলা মাদ্রাজ হাইকোর্টে আছে। মালদা আদালতে যে মামলা দুটি চলছে, তার মধ্যে একটি মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী মার্চে। দ্বিতীয় মামলাটি আবার আগামী নভেম্বরে আদালতে উঠতে চলেছে।