কলকাতাগামী বিমানে উঠে যাত্রী ধূমপান করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। কেউ যাতে দেখতে না পায় তার জন্য ওই যাত্রী সটান চলে যান বিমানের শৌচালয়ে। তারপর মনের সুখে সুখটান দেন। এমনকী সুখটান দেওয়া চলাকালীন গুনগুন করে গানও গাইতে থাকেন। বিমানের শৌচালয়ে ধূমপান করার জেরে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যদিও বরাতজোরে বেঁচে গেল মুম্বই–কলকাতা বিমান। কারণ মাঝ আকাশে বিমানের শৌচাগারে এভাবে ধূমপান করার নিয়ম নেই। এই ঘটনার জেরে আটক করা হয় যাত্রীকে। আজ, বুধবার সকালে কলকাতামুখী ইন্ডিগোর বিমান থেকে ওই যাত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওই যাত্রীর ধূমপান করার সময় কোনও তাপ–উত্তাপ ছিল না বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে যখন হাতেনাতে ধরা হয় তখন বিমান কর্মীদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধূমপান নিষিদ্ধ। সেটা বিমানের ভিতরে কোথায় লেখা আছে? প্রশ্ন করেন ওই যাত্রী। সেটা যখন দেখানো হয় তখন সিগারেট তৈরিই হয়েছে তা সেবন করার জন্য বলে যুক্তি দেখান ওই যাত্রী বলে অভিযোগ। মুম্বই থেকে কলকাতায় আসছিল ইন্ডিগোর ৬ই ৫১২২ বিমানটি। সেটি যখন মাঝ আকাশে ছিল তখন শেখ গোলাম মোস্তফা নামে এক যাত্রী শৌচাগারে ঢুকে ধূমপান করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ইরাক সফরে পোপ ফ্রান্সিসকে হত্যার ষড়যন্ত্র, আত্মজীবনীতে ঘটনা তুলে ধরতেই বিশ্বে আলোড়ন
বিমানের আর এক যাত্রী বিষয়টি দেখতে পান। আর তারপরই সেই খবর কেবিন ক্রুকে দিয়ে দেন। তবে তার আগে ওই যাত্রীকে বিমানে ধূমপান করতে নিষেধ করেন। আর সতর্কও করেন। কিন্তু ওই যাত্রী সে কথা শুনতে রাজি নন। উলটে যাত্রী শেখ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘নিজের আসনে গিয়ে বসুন। বেশি জ্ঞান দিতে হবে না।’ এই কথা শুনে বিষয়টি ওই ব্যক্তি বিমানে থাকা ক্রুকে জানান। তারপর কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করার পর যাত্রীকে সিআইএসএফ আটক করে। স্থানীয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। মাঝ আকাশে বিমানে উঠে এমন ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ দেখান অন্যান্য যাত্রীরা। বিমানে আগুন লেগে গেলে কে বাঁচাত? প্রশ্ন তুলে ওই যাত্রীর দিকে তেড়ে যান অন্যান্যরা। তবে পুলিশ যাত্রী শেখ গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করার জেরে কাছে যেতে পারেননি অন্যান্য যাত্রীরা বলে খবর। বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের অভিযোগ, এক যাত্রীর খামখেয়ালিপনা করার খেসারত দিতে হতো সব যাত্রীকে। ধূমপান থেকে বড় অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। প্রাণ যেতে পারত যাত্রীদের। কী করে কোনও যাত্রী এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।