মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শিল্পনীতিকে সামনে রেখেই শিল্পপতিদের এ রাজ্যে আহ্বান জানালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়। এছাড়াও আগে থেকে যে সমস্ত শিল্প এ রাজ্যে রয়েছে, সেগুলোকেও উৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার শিল্পমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজ্যে যে কোনও শিল্প এলে সব ধরনের সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। শিল্পক্ষেত্রে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে আগত শিল্পপতিদের। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শিল্পের জন্য যাই নির্দেশ দেবেন, তা অনুসরণ করে মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করবে তাঁর দফতর। তবে তিনি মনে করছেন, সব চেয়ে আগে এখন করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। অবশ্য এদিন সিঙ্গুর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি।
এর পর রাজ্যে শিল্প গড়ার লক্ষ্যে শিল্পপতিদের আহ্বান জানিয়ে পার্থবাবু বলেন, ‘ শিল্পের জন্য যে কেউ এলে তাঁকে সমস্ত সুযোগ দেওয়া হবে। সবাই শিল্প করতে আসুক সেটাই আমরা চাইছি। সেক্ষেত্রে সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ রইল।’
এদিন শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘মমতা শিল্পায়নের ক্ষেত্রে যাই নির্দেশ দেবেন, তাই আমরা অনুসরণ করব। শিল্পের ক্ষেত্রে তিনি যা পথনির্দেশ দেবেন সেটাই চূড়ান্ত। শুধু সৈনিক হিসেবে আমাদের দফতর মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করবে।’ তবে এদিন সিঙ্গুর প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি শুধু এটুকু জানান যে, তাঁর দফতরের যদি কোনও দুর্বলতা থাকে, তাহলে তা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।
রাজ্যে করোনার যে ভয়াভহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে মোকাবিলা করাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী। রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অক্সিজেন উৎপাদনের ওপরেই এখন বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ করোনা মোকাবিলা করা আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে অক্সিজেনের উৎপাদনের উপর বেশি জোর দিয়েছে আমাদের দফতর। তবে রি-ফিলিংয়ের জন্য সিলিন্ডার কম থাকার কারণে অসুবিধা হলেও সেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি আমরা।’
প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠাতায় ভোটে জিতে তৃতীয়বার সরকার গড়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভায় এবারে শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়ীত্ব পেয়েছেন পার্থ চট্টপাধ্যায়। তবে এর আগেও তিনি শিল্পমন্ত্রীর দায়ীত্ব সামলেছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁর দফতর সামলানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই পার্থকে পুনরায় এই দফতরে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।