আরজি কর হাসপাতালে সদ্যোজাতের দেহ লোপাটের অভিযোগ তুললেন মৃতের পরিজনরা। তাদের দাবি, সন্তানের মৃত্যুর পর তাদের সে খবর জানানো হয়নি। এমনকী দেওয়া হয়নি মৃতদেহও।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৩ জুন চন্দননগরের বাসিন্দা দেবযানী মণ্ডলের সদ্যোজাতকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। তার পর থেকে আর শিশুর দেখা পায়নি পরিবার। যদিও লকডাউনের মধ্যে রোজ চন্দননগর থেকে হাসপাতালে এসে সন্তানের জন্য স্তন্যদুগ্ধ দিয়ে দিয়েছেন মৃত শিশুটির মা। সন্তানের কথা জিজ্ঞাসা করলে জানানো হয়, চিকিৎসক বলতে পারবেন।
দেবযানী দেবীর দাবি, শুক্রবার ২৬ জুন তাঁকে সন্তানের মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়। জানানো হয় ভর্তির ২ দিন পরেই ১৫ জুন মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। যদিও তার দেহ পরিবারকে দেখাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃত শিশুর বাবা বাবুন মণ্ডলের দাবি, তাঁর সন্তান বেঁচে রয়েছে। তাকে বিক্রি করে দিয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা। তাই দেহ দেখাতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর প্রশ্ন, আমার সন্তান ১৫ জুন মারা গেলে এতদিন মায়ের দুধ নিয়ে কাকে খাওয়াচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা। ময়দানে নামে বিজেপি। মৃত শিশুর মা-কেনেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
অগ্নিমিত্রাদেবী বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই চিকিৎসাধীন সদ্যোজাতের মুখ মা-কেও দেখতে দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর থেকে অমানবিক আর কী হতে পারে?
নিয়ে সুপারের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাহাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত হবে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।