একটি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের যে-কোনও প্রান্তে সরকারি বাসে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। এর জন্য কোনও টিকিট কাটার প্রয়োজন হবে না। এর ফলে রাজ্য সরকারের আয় যেমন একদিকে বাড়বে তেমনি কার্ড রিচার্জের সময়ে বিশেষ ছাড় পাবেন যাত্রীরা। দ্রুত এই স্মার্ট চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় রাজ্য সরকার।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘এই ব্যবস্থা চালু হলে দেশের মধ্যে আমরাই প্রথম এই ব্যবস্থা চালু করব। সব দিক খতিয়ে দেখে দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, ‘স্মার্ট কার্ড তৈরি, সোয়াইপ মেশিন, প্রতিটি ডিপোয় কর্মী রাখা, সব কাজ বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে হবে। রাজ্য সরকার কেবল অনুমতি দেবে।’ জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য বাস পিছু টাকা দিতে হবে ওই সংস্থাকে। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের একটি বাসের জন্য ওই সংস্থা মাসে ১৮৩৫ টাকা চেয়েছে। পাশাপাশি ওই পরিবহণ নিগমের অধীনে থাকা ৭০০ বাসের জন্য প্রযুক্তিগত সাহায্য দিতে মাসে ৯ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের অধীনে মোট ২৬০০টি সরকারি বাস চলে। এই সব কটি বাসকেই ‘ওয়ান স্টেট, ওয়ান কার্ড’–এর আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের ৭০০ বাসকে এই স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার জন্য প্রস্তাব জমা পড়েছে। ই লেনদেন চালু হওয়ার ফলে ইতিমধ্যে সরকারি বাসে আয় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৭–১৮ সালে যেখানে টিকিট খাতে আয় ছিল ১০৬ কোটি টাকা, সেখানে ই লেনদেন চালু হওয়ার পর এই খাতে আয় বেড়ে হয়েছে ১২১ কোটি টাকা। স্মার্ট কার্ড চালু হয়ে গেলে যাত্রীদের অনেকের টাকা সিকিওরিটি ডিপোজিট হিসাবে জমা থাকবে। ফলে সরকারের আয় আরও বাড়বে।