কলকাতা পুলিশের নিজস্ব গাড়ি হোক বা ভাড়া করা গাড়ি, তাতে সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা থাকে ‘কে পি’। তবে এবার থেকে কলকাতা পুলিশের গাড়িতে আর কে পি লেখা যাবে না, তার বদলে পুরো কথাটাই লিখতে হবে, অর্থাৎ গাড়িতে লাগানো স্টিকারে লিখতে হবে ‘কলকাতা পুলিশ।’ লালবাজারের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে বাহিনীর সব গাড়িতে কলকাতা পুলিশ কথাটা পুরোটা লিখতে হবে। এই নির্দেশিকা সমস্ত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে ওসিদের জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়িতে এবার লোহার জাল লাগানোর নির্দেশ জারি, নবান্ন অভিযান থেকে শিক্ষা
কেন এই সিদ্ধান্ত?
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক গাড়ি রয়েছে যেগুলি এক সময় লালবাজারের তরফে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় গাড়িতে কলকাতা পুলিশের অংশ হিসেবে কেপি স্টিকার লাগানো হয়েছিল। তবে সেরকম বহু গাড়ির বরাত বর্তমানে বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে তারপরও দেখা যাচ্ছে, ওই গাড়িগুলিতে কেপি স্টিকার লাগানো রয়েছে। আর সেই কেপি l স্টিকারকে ঢাল করে এই গাড়িগুলির চালক বা মালিকরা ট্রাফিক আইন ভাঙছে। লশুধু তাই নয়, কেপি স্টিকারের আড়ালে বিভিন্ন রকম অনৈতিক কাজকর্মেরও অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনা কলকাতা পুলিশের নজরে এসেছে। তারপরেই এমন পদক্ষেপ লালবাজারের। বলা হয়েছে, কলকাতা পুলিশ কথাটা পুরোটা লিখতে হবে। এরফলে বিভ্রান্ত কমবে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে। তাতে সহজেই বোঝা যাবে কোনটা কলকাতা পুলিশের গাড়ি। এর ফলে পুরনো গাড়িগুলির ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতাও কমবে। তাই লালবাজারে তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একবালপুর, ওয়াটগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় কলকাতা পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ির আড়ালে অপরাধমূলক কাজকর্ম করার অভিযোগ সামনে এসেছে। সেক্ষেত্রে পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে এই এলাকাগুলিতে বেশ কয়েকটি কেপমারির ঘটনা ঘটেছে। নয়া নির্দেশিকার ফলে এই ধরনের প্রবণতা কমবে বলে মনে করছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে এই নির্দেশিকায় কাজ না হলে আগামী দিনে নাকা চেকিং চালাতে পারে কলকাতা পুলিশ। প্রসঙ্গত, এর আগে গাড়ি নিয়েও একাধিক পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার কাজে ব্যবহৃত কলকাতা পুলিশের সব গাড়ির সামনে এবং পিছনে—সমস্ত জানলায় শক্ত প্রতিরোধক হিসেবে লোহার জাল লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। আর এই পদক্ষেপ।