শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে চরমে পৌঁছল মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাক্ত অধ্যক্ষা বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাদ। বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে কলেজের পরিচালন সমিতির সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে পার্থবাবু বৈশাখিদেবীকে করোনাভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেন বলে দাবি করেছেন বৈঠকে উপস্থিত ব্যক্তিরা। এর পরই রীতিমতো কাঁদতে কাঁদতে বিকাশ ভবন ছাড়েন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি নবান্নে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ভালভাবে নেননি পার্থবাবু। তার জেরেই এদিন শিক্ষামন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
সম্প্রতি পার্থবাবুর বাড়িতে তাঁর সঙ্গে বৈশাখিদেবীর দীর্ঘ বৈঠক হয়। তার পরেও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না দাসকে শোভনের কেন্দ্র বেহালা পূর্বর দায়িত্ব দেন পার্থবাবু। এতেই ক্ষেপে ওঠেন বৈশাখি। নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তার পরই রত্নাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল।
এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে ছিল মিল্লি আল আমিন কলেজের পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈশাখিদেবী ও পার্থবাবুর ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখিদেবী। কলেজের পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর। অভিযোগ, গত বছর ১৪ আগস্ট দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে অসহযোগিতা শুরু করেন পরিচালন সমিতির সদস্যরা।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে পার্থবাবু বলেন, ‘করোনাভাইরাস যেমন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে, তেমন মিল্লি আল আমিন কলেজের ভাইরাস হলেন বৈশাখি।‘ এর পর পার্থবাবু জানান, কলেজের যে শিক্ষক বৈশাখি দেবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন তিনি। এর প্রতিবাদ করে আইন দেখাতে যান বৈশাখি। তখন পার্থবাবু বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
এই কথা শুনে বৈঠক ছেড়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান অপমানিত বৈশাখি। সূত্রের খবর, এর পর পার্থবাবু বলেন, ‘ওই চললেন আমার বিরুদ্ধে নবান্নে নালিশ করতে।’
বেরনোর সময় অশ্রুসিক্ত চোখে বৈশাখি বলেন, ‘আমি কখনো নিজের জন্য মন্ত্রীর কাছে যাইনি। গিয়েছি শিক্ষক ও কর্মীদের সমস্যা নিয়ে। তাও কেন পার্থবাবু আমার সঙ্গে এমন অসৈজন্য দেখালেন তা বলতে পারব না।’