এবার সুপ্রিম কোর্টে যেতেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ শিক্ষকদের পোস্টিং সংক্রান্ত মামলায়। শিক্ষকদের পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলায় ইডি ও সিবিআই দুই সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এমনকী প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই মতো রাতেই জেলে চলে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তবে এবার সেই সংক্রান্ত মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশে জারি হল সুপ্রিম কোর্টে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রাথমিকে পোস্টিং দুর্নীতি মামলা আর শুনবেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। একের পর এক সাড়া জাগানো নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও বর্তমানে জেলের অন্দরে। এবার সেই সঙ্গেই সামনে এসেছিল পোস্টিং সংক্রান্ত নানা অনিয়মের অভিযোগ।
কার্যত একের পর এক অভিযোগ। সেখানে বলা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের পোস্টিংয়েও কলকাঠি নাড়তেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের। এবার শিক্ষকদের পোস্টিং নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ের সময় বলা হত সংশ্লিষ্ট জেলায় শূন্যপদ নেই। আবার কিছুদিনের মধ্যেই সেই জেলায় তৈরি হয়ে যেত শূন্যপদ। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এর আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এটা একটা নতুন কায়দার দুর্নীতি। এই দুর্নীতিতেও টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। আর গোটা দুর্নীতিটাই মানিক ভট্টাচার্যের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে মনে হচ্ছে। তাই সিবিআইকে এই দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। অবিলম্বে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করবেন। সেই মতোই রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে চলে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
বিচারপতি জানিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এমনকী ছকে ফেলে এই দুর্নীতি করা হত বলে মনে করছে আদালত।
এদিকে এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরূপ হয়েছে কি না সেটা দেখার জন্য ইডিকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এমনকী জেল সুপারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর সহযোগিতা করা না হলে আদালত কড়া ব্য়বস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছিল। তবে সেই মামলা ধাক্কা খেল সুপ্রিম কোর্ট। আপাতত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি হল এই মামলায়।