বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। এই স্লোগানকে সামনে রেখে, আর নারীদের পাশে থাকা অঙ্গীকার করে এবার বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাত করেছিল তৃণমূল। আর আন্তর্জারিক নারী দিবসে সেই বাংলার নারীদের জন্য তৃণমূল পরিচালিত সরকারের নানা প্রকল্পই ফলাও করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে সবুজ সাথী সর্বত্র নারীদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর নারীদিবসেই সেই প্রকল্পগুলির সাফল্য়ের নানা দিক প্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে এবার নারী দিবসের বার্তাতেও সেই নারীদের ক্ষমতায়নের উপরেই জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারী সুরক্ষা উপরেও জোর দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির তাবড় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বাংলায় প্রচারে এসে বাংলার নারীদের সুরক্ষা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছিলেন। পালটা উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিল তৃণমূল শিবির। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন দিদি, ও দিদি-ই-ই বলে কার্যত কটাক্ষ করেছিলেন তখনও তার পালটা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
তবে সেসব আজ অতীত। এখন নারীদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কতটা অবদান রাখতে পেরেছে রাজ্য সরকার সেটাই বিচার্য। আর সেকথাই তুলে ধরতে চাইছে শাসকদল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমাদর পেয়েছে। প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেকথাই জেলায় জেলায় তুলে ধরার উদ্যোগ।