পর্ষদের ভুলের জন্য চাকরিপ্রার্থীর যদি বয়স পেরিয়ে যায় তবে তার দায় নিতে হবে পর্ষদকেই। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় পর্ষদকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ বঞ্চনার অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নেফাউর শেখ নামে এক টেট চাকরিপ্রার্থী। তিনি আদালতকে বলেন, টেটের ভুর প্রশ্নের কারণে তাঁর নম্বর বাড়লেও বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি ইন্টারভিউতে বসতে পারেননি।
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'ভুল প্রশ্ন থেকে পাওয়া নম্বরে পাশ করার পরেও বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে যাঁরা পরীক্ষা বসে পারেননি তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পর্যদকে পদক্ষেপ করতে হবে।' বিচারপতি নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে এই ধরনের প্রার্থীদের জন্য পর্ষদকে ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করতে হবে।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের জন্য ৬ নম্বর করে বাড়ে পরীক্ষার্থীদের। তাঁদের একজন নেফাউর শেখ। ২০১৬ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তিনি ইন্টারভিউয়ে বসার যোগ্য বলে বিবেচিত হন। কিন্তু বয়েস পেরিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি ইন্টারভিউয়ে বসতে পারননি।
ইতিমধ্যেই ২৫ হাজার চাকরি প্রার্থীকে বাড়তি ৬ নম্বর করে দিয়েছে পর্ষদ। বাকিদের ক্ষেত্রে পর্ষদের অবস্থান কী তা জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ৪ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন দুপুর ১২টার মধ্যে তা পর্ষদকে জানাতে হবে।