বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েই দলত্যাগী প্রাক্তনীর ওপর চাপ বাড়ালেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি যতই শ্রদ্ধা প্রকাশ করুন না কেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ হবে না তা দফতরে গিয়েই স্পষ্ট করলেন তিনি।
সোমবার নতুন দফতরের দায়িত্ব পেয়ে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘আমি তদন্তে হস্তক্ষেপ করবো না। তদন্তে সব স্পষ্ট হবে। কেউ দোষী সাব্য হলে বিচার হবে।’ সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, দফতর স্বচ্ছ্বভাবে চালাতে হবে। আমি তা নিশ্চিত করবো।’
এদিন বিধাননগরের অরণ্য ভবনে গিয়ে দফতরের প্রধান সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন জ্যোতিপ্রিয়। তার পরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।
বলে রাখি, করোনায় কেন্দ্রের পাঠানো চাল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে।
বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূল ছাড়েন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দিয়ে ডোমজুড় কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হন তিনি। এরই মধ্যে ভোটপ্রচারে রাজীবের বিরুদ্ধে বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন মমতা।
পালটা রাজীব হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমার কাছে কল রেকর্ডিং রয়েছে। আমি মুখ খুললে বটগাছ নড়ে যাবে। সমুদ্র উথালপাথাল হবে।’ তিনি দাবি করেন, সমস্ত জেলা নেতৃত্বকে বনসহায়ক নিয়োগের জন্য কোটা ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ ছিল তাঁর কাছে। যদিও ডোমজুড়ে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যান রাজীব। এর পর থেকে তাঁর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে তাতে তাঁর ওপর তৃণমূল যে চাপ কমাতে নারাজ তা এদিন স্পষ্ট হল।