ঋণের হার বেড়েছে, তবে সঞ্চয় প্রকল্পগুলির সুদের হার গত চার বছর ধরে প্রায় একই থেকেছে। পিপিএফের সুদ ৭.১ শতাংশ থেকেছে। এই আবহে দেশের অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ সরকারি সঞ্চয় প্রকল্পের তুলনায় বেশি ঝুঁকেছে শেয়ার এবং বন্ডের ক্ষেত্রে। যদিও এরই মধ্যে ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে স্বল্প সঞ্চয়ে লগ্নি বেড়েছে। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও সিকিম মিলিয়ে এই পরিসংখ্যান। এপ্রিল-অক্টোবরে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প বা এমআইএস, পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধি মিলিয়ে এই সঞ্চয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। (আরও পড়ুন: কমল ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ, ভারী হল বাংলাদেশের পকেট! ফারাক কত দুই দেশের?)
আরও পড়ুন: IIT বম্বের ফাইনাল সেমিস্টারের চাপ সামলে CAT-এ ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইল ছাত্রীর! কীভাব?
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতে আসতে পারে 'বুলেট টুইস্ট', হাওড়া রুটে হাই স্পিড রেলের প্রস্তাব কবে?
রিপোর্ট অনুযায়ী, মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, স্থায়ী আমানত, কিষাণ বিকাশ পত্রতে লগ্নির নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল শীর্ষ স্থানে আছে এপ্রিল থেকে অক্টোবর সময়কালে। এদিকে পিপিএফ এবং সুকন্যা সমৃদ্ধিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল চতুর্থ। এর আগের অর্থবর্ষেও ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলে সঞ্চয় প্রকল্পে লগ্নি বেড়েছে। তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সব সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল, ১.২১ লাখ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৬ শতাংশ বেড়ে ১.৪১ লাখ কোটি টাকা হয়। আর এই অর্থবর্ষে এপ্রিল-অক্টোবরে লগ্নির পরিমাণ ১.৫১ লাখ কোটি। (আরও পড়ুন: ১ বছরে অবিশ্বাস্য ১০০০০% লাফ মাল্টিব্যাগার শেয়ারের দামে, তারপর…)
আরও পড়ুন: পাক মহিলার গর্ভে ভারতীয় সন্তান, পঞ্চমবার মা হচ্ছেন 'PUBG প্রেমিকা' সীমা হায়দার
এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরে স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার বাড়েনি। তবে তাও পিপিএফ-এর মতো প্রকল্পের জনপ্রিয়তা কমছে না। বর্তমান হারেই যদি কোনও দম্পতি যদি প্রতি বছর মাথাপিছু ১.৫ লাখ টাকা পিপিএফে জমা দেন, তাহলে ১৭ বছর শেষে এক কোটি টাকা পাবেন (দুটি পৃথক অ্যাকাউন্ট)। (আরও পড়ুন: 'ভারতপোল'-এর নীলনকশা তৈরি করল CBI, কী কাজ করবে এটি? তদন্তে কেমন ভাবে হবে সাহায্য)
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি ১১ ওষুধের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার, কিন্তু কেন?
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ডাক বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ২০২২-২৩ সালে ১৮.২১ লক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সংখ্যাটা ছিল ২০ লাখ। আর এই অর্থবর্ষে এরই মধ্যে এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যেই সেই সংখ্যা হয়েছে ২৩.৪৬ লাখ। এভাবে অ্যাকাউন্ট বৃদ্ধিতে অনেকেই অবাক হতে পারেন। তবে সুদের হার না বাড়লেও এই খাতে লগ্নি বৃদ্ধির এই প্রবণতার কারণ 'সরকারি নিরাপত্তা' হতে পারে বলে মত অনেকেরই।