কথা রেখেও আইপ্যাক ত্যাগের কথা বলেছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তখন প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে পরবর্তী পরিকল্পনা কী? ইতিমধ্যেই তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে হ্যাট্রিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও ভাঙছে না তৃণমূল কংগ্রেস–আইপ্যাক গাঁটছড়া। তাহলে কী নতুন কোনও পরিকল্পনা? সূত্রের খবর, আগামী পাঁচ বছর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই কাজ করবে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। সুতরাং হিসেব দাঁড়াচ্ছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনেও আইপ্যাককে দেখা যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে। কারণ চুক্তি এমনই। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই বছরগুলিতে প্রশান্ত কিশোর থাকছেন তো?
একুশের নির্বাচনে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ২০০ আসন পার করবে। আর বিজেপি ১০০ আসন টপকাতে পারবে না। তিনিই বলেছিলেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী যদি ভুল হয় তাহলে এই পেশাই ছেড়ে দেবেন। তবে অঙ্ক মিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। যেহেতু তিনি আইপ্যাক ছাড়তে চান বলেছিলেন তাই প্রশ্ন উঠছে, প্রশান্ত কিশোর এই নতুন মেয়াদে থাকবেন তো? এই বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিহারের নীতীশ কুমারকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। অন্ধপ্রদেশে জগনমোহন রেড্ডিকে কুর্সিতে বসিয়েছেন, এমকে স্ট্যালিনের হাতে তামিলনাড়ুর মসনদ তুলে দিয়েছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির বুকে আসীন করেছেন। তারপর ২০১৯ সালে কঠিন পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গে হ্যাট্রিক করিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। এবার কী জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে কবজির জোর দেখাবেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন।
এখন পাঞ্জাব কংগ্রেসের সঙ্গেও তাঁর সংস্থার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের চুক্তি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আইপ্যাক ব্যস্ত থাকবে এই কাজে। ২০২২ সালে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। তবে সেখানে মুকুল রায়কে দায়িত্ব দিতে চায় দল। আর এখান থেকে একসঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। আবার এই টিমের একটা বড় অংশ অন্যান্য রাজ্যে কাজ করবে বলেও সূত্রের খবর।