খড়দা স্টেশনের কাছে লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পূর্ব রেল। ট্রেন ঢোকার সময় বুম গেট নামানো হচ্ছিল। তখন একটি গাড়ির কিছুটা অংশ ভিতরে থেকে যায়। সেই সময় গাড়ির পিছনের অংশে ধাক্কা মারে ডাউন হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। সেই গাড়িটি ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়িকে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু, বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। এই অবস্থায় ঘটনার পরে লেভেল ক্রসিংয়ের সিগন্যাল পোস্টে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব রেল। এই ব্যবস্থার নাম হল ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার সাপ্লাই বা আইপিএস।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল রেলের লেভেল ক্রসিং গেট, অবরুদ্ধ ফুলিয়া-বাদকুল্লাগামী রাস্তা
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রথমে একাধিক লেভেল ক্রসিং চিহ্নিত করে সেখানে বুম গেটের বদলে স্লাইডিং গেট বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছিল। তবে এবার লেভেল ক্রসিং সিগন্যালে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখার ওপর জোর দিতে চায়ছে রেল। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন থাকলে যে কোনও অবস্থায় লোকো পাইলটরা বুঝতে পারবেন লেভেল ক্রসিংয়ে সিগন্যাল রয়েছে কি না। কারণ ক্রসিংয়ের যে সমস্ত গেট থাকে সেগুলি স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত থাকে। ফলে সেগুলির সিগন্যাল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত নয়। এর জন্য স্থানীয় এলাকা থেকে বিদ্যুৎ নেওয়া হয়। ফলে স্থানীয় এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে লেভেল ক্রসিংয়ের গেটেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হবে। ফলে সিগন্যালে সমস্যা হবে।
এই সব কারণেই ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এরফলে স্থানীয় স্তরে বিদ্যুতের সরবরাহ ছাড়াই বিদ্যুতের যোগান সম্ভব হবে। ফলে সিগন্যালে সমস্যা হবে না। প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকরী তা পরীক্ষা করার জন্য হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনের বৈঁচি স্টেশনের ২৫/সি নম্বর গেটে আইপিএস বসানো হয়েছে। সফল হলে বাকি লেভেল ক্রসিংগুলিতেও একই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রসঙ্গত, লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় বুম গেটের পরিবর্তে স্লাইডিং গেট বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল- বেথুয়াডহরি, সরগাছি, রেজিনগর স্টেশনে, ধপধপি-গোচারণ শাখায়, গোচারণ-দক্ষিণ বারাসত শাখায়, হটর-মগরাহাট শাখায়, মছলন্দপুর-গোবরডাঙা শাখায়, হাবড়া-মছলন্দপুর শাখা এবং অন্য আরও কিছু জায়গায়।