বিস্তর দৌড়–ঝাঁপ করার পর অবশেষে কয়লা কাণ্ডে প্রথম কোনও আইপিএস অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। সোমবার সকালে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার তথাগত বসু। আগে তিনি হুগলির জেলাশাসক ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান গোয়েন্দারা।
এদিকে কয়লা পাচারকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজ এখনও পায়নি সিবিআই। ৩১ ডিসেম্বর গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান হয়েছে। রাসবিহারী ও চেতলায় ওই ব্যবসায়ীর দুটি বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এবার পুলিশ কর্তার সিবিআই দফতরে আসা আরও গুঞ্জন বাড়িয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারের বেআইনি কারবারের টাকা বিনয় মিশ্রর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছে যেত। বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষ্য থেকে ওই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। বিনয় মিশ্রর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচারকাণ্ডে ৩১ তারিখ হুগলির কোন্নগরের দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করে সিবিআই। অমিত সিং ও নবীন সিংয়ের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই অফিসাররা। ওই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এক ডিআইজি–সহ বিএসএফের চার অফিসারকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। ওই চারজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলা হয়।
কিছুদিন আগে এই মামলায় বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকও আত্মসমর্পণ করেছে।