আরজি কর কাণ্ড কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে । এদিকে এই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায় ইতিমধ্য়েই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি নির্দোষ। তবে এখনও অনেকের সন্দেহ সঞ্জয় রায় কি একলা ওই কাজ করতে পারবে? নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সকলের একযোগে রাস্তায় নামার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়ের গলাতেও শোনা গেল একই রকমের সুর। তিনি বলেন, মনুষ্যত্ব হারালে তবেই মানুষ এমন কাজ করে।
আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে শোভনদেব বলেন, এই কাজ একজনের পক্ষে সম্ভব কি না তা আমি বলতে পারব না। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। যে বা যারাই করে থাকুক না কেন বিচার হবেই। সেই সঙ্গেই শোভনদেব বলেন, আমাদের দল চরম শাস্তি চাইছে। সবাই মিলে নামলে ভালো। আমি মনে করি সব দলের একসঙ্গে নামা ভালো। জানিয়েছেন শোভনদেব।
ওই নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা মায়ের কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই মেয়েটির বাবা মা জানতেন না এমন আক্রমণ হবে বা বিপদ হবে। তাই একসঙ্গে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের নামা ভালো। সবাই নামলে সকলের আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হবে। তিনি বলেন, সামাজিক ব্যধি একটা। অবনমন গোটা দেশে হচ্ছে। সারা দেশে এমন ঘটনা ঘটছে। সকলে মিলে এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়তে হবে। একটা জনমত তৈরি করতে হবে। কেউ বলে দিচ্ছে না যে নারী নির্যাতন করো বা কেউ এসে উৎসাহ দিচ্ছে না। এটা একটা সামাজিক ব্যধি। জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এদিকে সেই সামাজিক ব্যধি যে সমাজকে এভাবে গ্রাস করবে সেটা হয়তো ভাবতে পারেননি কেউ। একের পর এক ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের বিষয়টি সামনে আসছে। সঞ্জয় কিংবা ধনঞ্জয় একলা নয়, এই সমাজে একের পর এক ঘটনা সামন আসছে।
তবে সঞ্জয় অবশ্য প্রিজন ভ্যানের জানালা থেকে জানিয়েছে, ‘আমি কিন্তু রেপ আর মার্ডার করিনি। আমায় নীচে নামিয়ে দিল। আমার কথা শুনছে না। পুরো সরকার আমায় ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে তুমি কিছু বলবে না, তুমি কিছু বলবে না। এমনকী ডিপার্টমেন্ট আমায় ভয় দেখিয়েছে…আমি পুরোপুরি নির্দোষ। আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’ প্রিজন ভ্যানের জানালা থেকে চিৎকার করছিল সে। এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে সে একথা বলে।