করোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক দাওয়াই প্রয়োগ হয়েছে রাজ্য জুড়ে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভিড় এড়াতে নানা পরামর্শ দিচ্ছে রাজ্য় সরকার। কিন্তু এসবের মধ্য়েই আয়োজিত হওয়ার কথা গঙ্গাসাগর মেলা। এদিকে সেই মেলাতে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। সেই ভিড় থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কাটা থেকেই যায়। এনিয়ে বিভিন্ন মহল থেকেই ইতিমধ্যেই নানা আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এদিকে মেলা বন্ধের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির প্রশ্ন, মেলা বন্ধ করা কি সম্ভব? রাজ্য় কি চায়? এদিকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে অ্য়াডভোকেট জেনারেল রাজ্যের মনোভাব আদালতে পেশ করবেন।
এদিকে মামলাকারী অভিনন্দন মণ্ডল দক্ষিণ দমদমের একটি সেফ হোমের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কুম্ভের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা গঙ্গাসাগরেই হয়। প্রায় ১৫লক্ষ মানুষের জনসমাগম হয়। গঙ্গাসাগরে পুলিশ আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে সেটাও জানানো হয়েছে আদালতে। এর সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে বলেও এদিন আদালতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে চিকিৎসক ফোরামের পক্ষ থেকেও এদিন মামলায় অংশ নেওয়ার আবেদনও জানানো হয়। এদিকে আইনজীবীদের প্রশ্ন, বহু সাধু মাস্ক মানতে চান না। তাদের মাস্ক পরানোর দায়িত্ব কে নেবে?
তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করা সম্ভব কি না তা নিয়ে রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে কঠোরভাবে করোনা বিধি আরোপ করেও মেলা চালু রাখা হবে কি না সেই বিষয়টি এখন নির্ভর করছে একান্তভাবেই রাজ্যের উপর।