মুকুল রায়ের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে সময় বেঁধে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মুকুল রায়ের পিএসি চেয়ারম্যান খারিজের আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের এই রায়।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের ভিত্তিতে হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষকে জানাতে হবে, মুকুল রায়কে তিনি পিএসি চেয়ারম্যান পদে রাখছেন কিনা। কিছুদিন আগেই এই মামলায় শুনানি চলাকালীন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানতে চান, পিএসি চেয়ারম্যান হতে কী কোনও রাজনৈতিক দলের ছাড়পত্র লাগে। পাশাপাশি তিনি এও জানতে চান, পিএসি চেয়ারম্যান কী বিরোধী দলের থেকে করাটাই নিয়ম। সরকার পক্ষ ও মামলাকারী উভয় পক্ষের কাছ থেকেই এই বিষয়ে মতামত চেয়েছিলেন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের তরফে আদালতকে হলফনামায় জানানো হয়েছিল, সংবিধানের ২১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিধানসভার অন্দরের কোনও বিষয় যদি বিচারাধীন অবস্থায় থাকে, তাহলে তা বিচারব্যবস্থার এক্তিয়ারভুক্ত নয়। কিছুদিন আগেই শুনানি পর্ব শেষ হয়ে গেলেও মামলার রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। এদিন আদালতের তরফে এই বিষয়ে জানানো হল, বিধানসভার অধ্যক্ষকেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আদালতের এই রায়ের ফলে মুকুল রায়ের পিএসি চেয়ারম্যান পদে থাকা পাকাই হয়ে গেল। কারণ, এর আগে পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে বিধানসভার অধ্যক্ষই মনোনীত করেছিলেন। এর আগে তৃণমূলের তরফেও জানানো হয়েছিল, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিলেও কাগজে কলমে তিনি কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক। রীতি অনুযায়ী তিনি পিএসি চেয়ারম্যান হতেই পারেন। এদিকে গতকাল মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে অন্য একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।