বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > নেতাজি অন্তর্ধান: কে ছিলেন গুমনামি বাবা? তদন্ত চেয়ে মোদীকে চিঠি পরিবারের একাংশের

নেতাজি অন্তর্ধান: কে ছিলেন গুমনামি বাবা? তদন্ত চেয়ে মোদীকে চিঠি পরিবারের একাংশের

গুমনামি বাবা (সংগৃহীত)

ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায় আজও যে নামটি সদা উজ্জ্বল তিনি নেতাজি। আজও নেতাজির নাম শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত করে গোটা ভারতবর্ষ। কিন্তু নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে আজও অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এবার এনিয়ে মোদীকে চিঠি দিলেন বসু পরিবারের একাংশের।

বীর দেশনায়ক নেতাজির অন্তর্ধান এখনও রহস্যে মোড়া। একাধিক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনও। তবে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন শরৎচন্দ্র বসুর বড় ছেলে অশোকনাথ বসুর সন্তানরা। নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন তাঁরা। শরৎচন্দ্র বসুর বড় নাতনি জয়ন্তী বসু রক্ষিত, নাতনি তপতী ঘোষ ও নাতি আর্যকুমার বসু এই চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে গুমনামি বাবার প্রসঙ্গ। গুমনামি বাবাই কি নেতাজি? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে গোটা দেশ যখন উন্মুখ তখন সেই গুমনামি বাবার প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন বসু পরিবারের সদস্যরা।

তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন,  গুমনামি বাবার প্রসঙ্গ মানুষের মনে যে সাড়া ফেলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উড়িয়েও দেওয়া যায় না। এব্যাপারে নেতাজি সম্পর্কিত দুই গবেষক চন্দ্রচূড় ঘোষ ও অনুজ ধর বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শী ও ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করে জনসমক্ষে এনেছেন। বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায়ও নিজেই বলেছিলেন যে গুমনামি বাবাই ছিলেন নেতাজি। কেন সরকার বিষয়টিতে আমল দেয়নি, আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

এদিকে স্বাভাবিকভাবে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গও এসেছে এই চিঠিতে। তবে রেনকোজি মন্দির থেকে চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনার যে দাবি সম্প্রতি চন্দ্রকুমার বসু করেছেন তাতেও আপত্তি জানানো হয়েছে। তাঁরা লিখেছেন,  ১৯৪৫ সালের অগস্টে তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনার তত্ত্ব সাধারণ মানুষও মানেন না। নেতাজির স্ত্রী এমিলি শেঙ্কল, শরৎচন্দ্র বসু, সুরেশচন্দ্র বসুও এই তত্ত্ব যুক্তিগ্রাহ্য নয় বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। মাল্টি ডিসিপ্লিনারি বিশেষ তদন্তদলের অধীনে নতুনভাবে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন তাঁরা। 

বন্ধ করুন