ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করল আইএসএফ। এই একই ইস্যুতে মিছিল করল বাম ছাত্র–যুব সংগঠনের সদস্যরাও। গতকাল আনিস খানকে নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগে মিছিল করেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই মিছিলের পরই এই মিছিল।
এদিন দুপুরে শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু করে আইএসএফ। মিছিলে ছিলেন আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এর আগে আনিসের মৃত্যুর পর তাঁর বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে এসেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এদিকে আনিস কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল করল ডিওয়াইএফআই ও এসএফআইও। বাম ছাত্র, যুব সংগঠনের সদস্যরাও এদিন শিয়ালদহ থেকে মিছিল করেন। কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত যায় সেই মিছিল। দুদিন আগে আনিস কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমতা থানা অভিযান করেছিল বামেরা। তখন বামপন্থী ছাত্র নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন বামপন্থী ছাত্র, যুব নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। এদিন তাঁদেরও মুক্তির দাবিতে সরব হলেন বাম ছাত্র, যুব নেতারা।
এদিকে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য আনিস খানের দেহকে কবর থেকে তোলা হয়। এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু মৃত্যুর ১০ দিন পর ময়নাতদন্ত কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাই এই বিষয়ে যথেষ্টই সন্দীহান। এদিন আনিসের অসুস্থ বাবা সালেম খানকে দেখতে তাঁর বাড়ি যান বাম নেতা ফুয়াদ হালিম ও প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র। ইতিমধ্যে আনিস কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন হোম গার্ড ও আরেক জন সিভিক ভলেন্টিয়ার। তবে টি আই প্যারেডে এরাই আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কিনা, তা স্পষ্ট হয়নি। আনিসের বাবা ওই ২ জনকে চিনতে পারেননি।