ধর্মতলায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ গ্রেফতার হয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তাঁর জামিন খারিজ হওয়ায় তিনি এখন জেলে। এই বিধায়কের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষনেতার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের কথোপকথন উঠে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে। হাওয়ালার টাকার লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে। তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে লালবাজার? লালবাজারের সূত্রে খবর, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এক শীর্ষনেতা–সহ বহু নেতার সঙ্গে চ্যাট হয় নৌশাদ সিদ্দিকির। নৌশাদকে বিজেপির এক শীর্ষনেতা বলেছিলেন, এই রাজ্যের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে। তাহলেই তাঁদের সরাতে তিনি নয়াদিল্লিতে আসরে নামবেন। একুশের নির্বাচনের সময় বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্তাদের সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে নৌশাদের সুপারিশ কাজ করেছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক লালবাজারের এক অফিসার জানান, তাঁদের কাছে প্রমাণ আছে একাধিক বিজেপি নেতাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট হয়েছে নৌশাদের। এক শীর্ষনেতার সঙ্গে তাঁর চ্যাটগুলি ঘিরে বাড়তি সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই হাওয়ালার মাধ্যমে নৌশাদ কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছেন বলে প্রমাণ গোয়েন্দা পুলিশ পেয়েছেন। সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। আর বিজেপির কোনও সূত্র থেকে টাকা এসেছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কে, কী বলছেন নৌশাদ নিয়ে? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই চ্যাটগুলির ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই নৌশাদ সিদ্দিকির দু’টি মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপির শীর্ষ নেতার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চালাচালি হয়েছে। তদন্তে সব তথ্য সামনে আসবে। ধর্মগুরুর সত্তাকে কেউ যেন অন্য কাজে ব্যবহার না করে। এই পিরিত নিয়ে তদন্ত করা উচিত।’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিধানসভায় আমাদের মুখ্য সচেতকের সঙ্গেও নৌশাদের কথা হয়। অন্য কেউ কথা বলে থাকলে বেশ করেছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup