বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয়েই চলেছে বলে অভিযোগ। এই অত্যাচার যাতে ঠেকানো যায় তার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই কথা বলতে শোনা গেল, ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাসের কণ্ঠে। এখন যা পরিস্থিতি বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে তাতে হিন্দুদের সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের পিস কিপিং ফোর্সের দরকার। এমনই মনে করছেন রাধারমন দাস। এখনও গ্রেফতার হয়ে রয়েছেন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। ইসকনের সন্ন্যাসীদের উপর হামলা থেকে শুরু করে ইসকনের মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নানা ভারত–বিরোধী মন্তব্য করা শুরু হয়েছে। অশান্তির আবহ এখনও অব্যাহত। আক্রান্ত হচ্ছে ইসকন। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে রাধারমন দাস বলেন, ‘২০২১ সালেও দুর্গাপুজোয় একাধিক মণ্ডপে হামলা হয়েছিল বাংলাদেশে। মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। নোয়াখালিতে পুকুরে ভেসে উঠেছিল ইসকন মন্দিরের সন্ন্যাসীর মৃতদেহ। তখন আমি নিজেই রাষ্ট্রপুঞ্জকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম, হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপুঞ্জের পিস কিপিং ফোর্সের দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি টিম বাংলাদেশে এখন থাকলে হিন্দুরা সেখানে হয়তো আরও কিছুটা সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম? তদন্ত কমিটির ভূমিকায় ধোঁয়াশা
মহম্মদ ইউনুসের অন্তবর্তী সরকার শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি পদ্মাপারে। এখন ওখানে যা অবস্থা তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি তাঁকে ফোন করেছিলেন বলেও দাবি করেন রাধারমন দাস। তাঁর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমায় ফোন করেছিলেন। ওঁকে ধন্যবাদ জানাই। এখন ওখানে ইসকনের সদস্য ও সন্ন্যাসীরা কেমন আছেন, তার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি উদ্বিগ্ন। দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক প্রার্থনা করেছেন। উনিও রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।’ এই নিয়ে বাংলাদেশ পাল্টা মন্তব্য করে। সুতরাং সেখানের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ইসকনকে টার্গেট করা হচ্ছে ওপারে বলে অভিযোগ তুলেছেন কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট। রাধারমন দাসের কথায়, ‘ইসকনকে টার্গেট করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়া হচ্ছে। ইসকনের সদস্যদের, ভক্তদের অপহরণের পরে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেন মৌলবাদীদের এমন আচরণ? আমরা তো দিনরাত সেবামূলক কাজ করি। স্টিভ জোবস থেকে শুরু করে অ্যালফ্রেড ফোর্ড, তুলসী গ্যাবার্ড অথবা হেমা মালিনী সকলেই ইসকনের ভক্ত। তবে তাঁরাও কি সন্ত্রাসবাদী? যে কোনও পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইসকনের সন্ন্যাসীরা।’