যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধ করতে ইসরোর কাছে প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ নিয়ে ইসরোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য নবনিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে দায়িত্বও দিয়েছিলেন। সেই গত শুক্রবার উপাচার্য ইসরোর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায়ও করেছিলেন। এ বার তাদের প্রতিনিধি দল আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ইসরোর প্রতিনিধি দল আসতে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দেখার পাশাপাশি হস্টেলেও যেতে পারে। গত শুক্রবারই ইসরোর সঙ্গে আলোচনার পর বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছিলেন, কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা র্যাগিং আটকানো যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলে, আগামিদিনে ইসরোর টিম আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই টিমই আসবে বৃহস্পতিবার।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ইসরোর প্রতিনিধিরা মূলত দেখবে, ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স, টার্গেট ফিক্সিং এর মতো প্রযুক্তি যাদবপুরে কাজ করবে কি না। রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার নিয়ে ওই দিন একটি বৈঠক হতে পারে। হস্টেলেও কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব, বুঝে নিতে হস্টেলেও যেতে পারে ইসরোর প্রতিনিধি দল।
(পড়তে পারেন। কবে শুরু হবে CCTV বসানোর কাজ, উত্তর দিলেন JU-র রেজিস্ট্রার)
(পড়তে পারেন। গত ৫ বছরে র্যাগিং রুখতে কী পদক্ষেপ? যাদবপুরের কাছে রিপোর্ট চাইল রাজ্যের কমিটি)
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে শুরুতেই দুটি ছাত্র সংগঠনের বিরোধের মুখে পড়েন উপাচার্য।
পরে অবশ্য রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই প্রস্তাব উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। দফতরের তরফে মৌখিকভাবে সিসিটিভি বসানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এর জন্য কিছু সময় লাগবে বলেই তিনি জানান। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, আর্থিক সাহায্যের জন্য এই প্রস্তাব পাঠানো হবে অর্থ দফতরে। এরপর অর্থ দফতরের অনুমোদন মিললেই আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। তারপরে সিসিটিভি বসানো কাজ শুরু হয়ে যাবে।