আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। আর তা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে র্যাগিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুমে তাঁকে ঢুকিয়ে র্যাগিং করা হয়েছে বলে ছাত্রের অভিযোগ। ২০২৪ সালে যাঁরা পাশ করে গিয়েছেন সেইসব প্রাক্তনীরা এই র্যাগিংযের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। একবছর আগেই এখানে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রকে ব্যাপক র্যাগিং করা হয়। তার জেরে প্রাণ যায় ওই নদিয়ার ছাত্রের। তাতে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য–রাজনীতি। অনেকে জেল খাটছে এখন। তারপরও র্যাগিং থামল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এদিকে ওই নির্যাতিত ছাত্র গোটা ঘটনা লিখে ইউজিসি–কে এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই অভিযোগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্ত যে শুরু হয়েছে সেটা এখানকার এক অফিসার জানিয়েছেন। ওই ছাত্র এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন। এই ঘটনায় একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখনও র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস হয়নি। নির্যাতিত ছাত্রের অভিযোগ, তাঁর গলা ধরে জোর করে চিঠি লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চার বছর সহবাসের অভিযোগ, গড়িয়াহাট থেকে গ্রেফতার চিকিৎসক
অন্যদিকে ওই চিঠিতে লেখানো হয়েছে, কিছু সিনিয়র জোর করে এই র্যাগিংয়ের অভিযোগ করতে বলেছে। তাই সে চিঠি লিখেছে। আসলে তাঁকে সত্যিই র্যাগিং করা হয়েছে। আর সেটা থেকে বাঁচতে এই চিঠি লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে ছাত্রের অভিযোগ। একবছর আগে এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরে ছাত্র মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। তাতে জল অনেকদূর গড়িয়েছিল। আজও ওই ছাত্রের বাবা–মা বিচারের আশায় চোখের জল ফেলেন। তাঁদের আর্জি ছিল, তাঁদের ছেলের সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা যেন অন্য কারও সঙ্গে না ঘটে। কিন্তু সেই আর্জি বাস্তবায়িত হল না। র্যাগিংয়ের শিকার হলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র।
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে এখন তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নির্যাতিত ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, ‘র্যাগিংয়ের ঘটনাটি ঘটে ২ অগস্ট। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনীরা আমাকে ইউনিয়ন রুমে ডাকে। আর সেখানে সবাই মিলে আমাকে নোংরা কথাবার্তা বলতে থাকে। সেখানে আরও ৬ জন এসে যোগ দেয়। তারপর আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। জোর করা হয় ফোনের লক খুলতে। এসবের পর আমার ফোনে থাকা ব্যক্তিগত মেসেজ পড়তে থাকে তারা। আমাকে দিয়ে মিথ্যে কথা লিখিয়ে নেওয়া হয়। আমি র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস চাই।’