রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি এগিয়ে এনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে ঘোষণা করেছে। অনেক বেসরকারি সংস্থায় ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করা হয়েছে। সরকারি ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাবার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৩ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার রাতে ভার্চুয়াল বৈঠকে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে।
জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে শিক্ষক সংগঠন আবুটার সাধারণ সম্পাদক গৌতম মাইতি উপাচার্যকে স্মারকিলিপি দিয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অনলাইনে যে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা, তাও হবে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক কর্মী, আধিকারিক এবং শিক্ষকরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজাবাজার এবং বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মরত সবাইকে ভ্যাকসিন প্রদানের উদ্যোগ নিল। রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রাজাবাজারের মেঘনাদ সাহা অডিটোরিয়ামে ও বালিগঞ্জের বায়ো–কেমিস্ট্রি বিভাগে যথাক্রমে ২৭ ও ৩০ এবং ২৮ ও ২৯ এপ্রিল ভ্যাকসিন ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে।