বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে বোর্ড টাঙানো হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গেটে। অবশেষে সেই বোর্ড তুলে নেওয়া হল। এর আগে নোটিশে বলা হয়েছিল উপযুক্ত কারণ ও যথার্থ অনুমতি ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে বুধবার বিশেষ বৈঠকের পর এই নোটিশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে কীভাবে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখা যায়।
সূত্রের খবর,এই বহিরাগত শব্দটিকে ঘিরে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছে। এনিয়ে কর্তৃপক্ষও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। পাশাপাশি মিটিংয়ে উপস্থিত অনেকেই এই বিষয়টির সঙ্গে একমত। প্রোভিসি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ওই বোর্ডে যে শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছিল তা যাদবপুরের মুক্ত সংস্কৃতির সঙ্গে ঠিক মেলে না। তবে আসল অভিপ্রায় ছিল মদ্যপান ও ড্রাগের ব্যবহারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা। কিন্তু ওই বোর্ডটি ঠিকঠাকভাবে লক্ষ্যপূরণ করছিল না। সেকারণে বোর্ডটিকে সরানো হয়েছে।
জুটার জেনারেল সেক্রেটারি পার্থপ্রতীম রায় জানিয়েছেন, অন্যান্য ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রছাত্রীরা বা গবেষকদের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার ক্ষেত্রগুলি বন্ধ করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না। তবে অনেকেই মানছেন যে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশকে বিঘ্ন করছে এমন কিছু সুরক্ষার সমস্যা রয়েছে। যাদবপুরের ABUTA লোকাল চ্যাপ্টারের পক্ষে গৌতম মাইতি বলেন, এটা একটা উদ্বেগের ব্যাপার। প্রশাসন এটা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ।