যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’সপ্তাহ পর ফিরেছেন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। যে হামলা এবং আক্রমণ নেমে এসেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হন উপাচার্য। আর তিনি আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চরমে নিয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এখানে এখন থেকে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাইরের যানবাহন ক্যাম্পাসে ঢোকা। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে পাঁচ নম্বর গেট। যদিও বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ এবং সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে এখনও কিছু খোলসা করা হয়নি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলা করা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাইলট কারকে। ভাঙা হয়েছিল গাড়ি। আক্রমণ করা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর উপরও বলে অভিযোগ। অধ্যাপকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বাম–অতিবাম সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার সময় এক ছাত্র আঘাত পায় ব্রাত্য বসুর গাড়িতে। কারণ ওই ছাত্র গাড়ির উপর চড়াও হতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এবার আপত্তিকর গ্রাফিতি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজাদ কাশ্মীর লেখা স্লোগানের জন্য এফআইআর দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে এই এফআইআর অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্রদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলার জেলা হাসপাতালে প্রথম ‘ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট’, সাফল্য পেলেন শল্য চিকিৎসকরা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে শুধুমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই তাদের পরিচয়পত্র জমা দিয়ে তবেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। এই নিয়ম কার্যকর ছিল। সেটা এবার কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। এজেন্সি কর্মী ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের আলাদা পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার লাগানো গাড়ি ছাড়া বাকি সব গাড়ি ৩ নম্বর গেট দিয়ে ঢোকার আগে একটি রেজিস্টার পূরণ করতে হবে। সন্ধ্যে ৭টার পর আর ক্যাম্পাসের ভিতরে বাইরের গাড়ি ঢুকতে পারবে না। এক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নিরাপত্তারক্ষীর এখন অভাব আছে। আর তাই পাঁচ নম্বর গেট আপাতত বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৫ জন অতিরিক্ত চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে যে অডিটোরিয়াম আছে সেখানে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ইউনিয়ন, সমিতি, ক্লাবই অনুষ্ঠান করতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ক্যাম্পাসের ভিতর সংবাদমাধ্যমের অবাধ প্রবেশ থাকছে না। মাত্র দু’জন প্রবেশ করতে পারবেন একটি সংবাদমাধ্যম থেকে। প্রশাসনিক ভবন ও অরবিন্দ ভবনে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে আগাম অনুমতি নিতে হবে। সাংবাদিকদেরও ঢোকার সময় রেজিস্টারে সই করতে হবে। প্রেস কার্ড গলায় ঝোলাতে হবে।