ইস্তফা দিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্নেহমঞ্জু বসু। গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন কোনও উপাচার্য না থাকায় যাবতীয় ঝড় ঝাপটা সামলাতে হয়েছে তাঁকেই। শুক্রবার তাঁর কাছে খুনের হুমকি দিয়ে একটা চিঠি পৌঁছয়। তার পরই উপাচার্যের কাছে ইস্তফাপত্র পেশ করেন তিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, শুক্রবার রেজিস্ট্রার আমাকে একটা চিঠি দেন। যদিও ব্যস্ততার কারণে আমি সেই চিঠি খুলে দেখার সময় পাইনি। পরে ইমেলে তিনি আমাকে চিঠিটি পাঠান। তখন জানতে পারি উনি ইস্তফা দিতে চান। এর পর আমার সঙ্গে ওনার ফোনে কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, খুনের হুমকি পাওয়ার পর উনি আর পদে থাকতে চান না। আমি ওনাকে বলি, এভাবে তো যে কেউ যে কাউকে খুনের হুমকি দেবে আর সে যদি ছেড়ে চলে যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় চালাব কী করে? আপনি ভেবে দেখুন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানান।
বলে রাখি, শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও সহকারী রেজিস্ট্রারের কাছে ২টি হুমকি চিঠি আসে। তাতে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে সমর্থন জানিয়ে রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রারকে অকথ্য গালিগালাজ করা হয়েছে। এমনকী তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। চিঠি পেয়েই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্নেহমঞ্জুদেবী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে নাবালক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তার ৪ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দেখা যায় স্নেহমঞ্জুদেবীকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এর পর জানান শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে ছিলেন তিনি। তবে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্নেহমঞ্জু বসুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।