যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চিঠি লেখার ঘটনায় উঠে এল এক অধ্যাপকের নাম। রানা রায় নামে ওই অধ্যাপক কলকাতা লাগোয়া বেলগাছিয়ার বাসিন্দা রানাবাবু কোচবিহার এবিএন শীল কলেজের অধ্যাপক। তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন চিঠি লেখার অভিযোগ এনেছেন প্রতিবেশীরাও। এমনকী প্রতিবেশীদের চিঠির সঙ্গে কন্ডোম পাঠাতেন বলেও টালা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। যদিও স্নেহমঞ্চু বসুকে হুমকি চিঠি লেখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা রায়।
শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও যুগ্ম রেজিস্ট্রার ২টি আলাদা চিঠি পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর সমর্থনে লেখা ওই চিঠিতে রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রারকে অকথ্য গালিগালাজ করা হয়েছে। এমনকী চিঠিতে তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। চিঠি পেয়ে যাদবপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন স্নেহমঞ্জু বসু। এর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। চিঠিতে উল্লেখিত রানা রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আধিকারিকরা। কিন্তু তিনি চিঠির ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
শুক্রবার বেলগাছিয়ার আবাসনে রানা রায়ের খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায় তিনি বাড়ি নেই। প্রতিবেশীরা জানান, রানা রায় তাঁদেরও গালিগালাজ করে চিঠি লিখেছেন। এমনকী চিঠির সঙ্গে কন্ডোম পাঠিয়েছেন। এই মর্মে টালা থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানান, রানা রায় নামে ওই ব্যক্তি মাঝে মাঝে মুখোশ পরে চলা ফেরা করেন।
ফোনে যোগাযোগ করা হলে রানাবাবু জানান, তিনি বর্তমানে ভুবনেশ্বরে রয়েছেন। রেজিস্ট্রারকে চিঠি লেখার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। পুলিশ তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। পুলিশ ডাকলে তিনি হাজিরা দেবেন।