রাত পোহালেই সোমবার। আর আগামীকালই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি’র বিশেষ টিম। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যু নিয়ে রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকজন তার জেরে গ্রেফতার পর্যন্ত হয়েছে। এমনকী র্যাগিং করার জেরেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে সিলমোহর পড়েছে। তাতে আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। এবার ইউজিসি টিম নিজেরা এসেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই সবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন নয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সেখানেও ছাত্রদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে পাল্টা সংবাদমাধ্যমের উপর চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সাংবাদিকদের লাগাতার প্রশ্নের কাছে তিনি কার্যত নিজের অসহায় বোধ তুলে ধরেন। তাতে আরও পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। কারণ যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র এবং প্রাক্তনীদের জন্য নতুন পড়ুয়ার প্রাণ যায় সেখানে উপাচার্য তাদের কথা শুনছেন কেন? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে একজন জামিনে মুক্ত হয়েছে। পৃথকভাবে তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি। এই ঘটনার পরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দফায় দফায় চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। এমনকী তাদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিল।
অন্যদিকে এখানে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি লাগানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউজিসি’র গাইড লাইন মানছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয় ইউজিসি। সেই চিঠির উত্তরও দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে ইউজিসির প্রতিনিধি দল বলে সূত্রের খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো রিপোর্টে অখুশি হয়েই ক্যাম্পাসে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা।
আরও পড়ুন: সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নয়া ভাবনা রাজ্য সরকারের, নিয়োগে কি বাড়তি সুবিধা?
কী করবে এসে ইউজিসি টিম? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবে ইউজিসি’র বিশেষ দল। নানা প্রশ্নও করতে পারেন। আর অবশ্যই ছাত্র মৃত্যু নিয়ে নানা তথ্য জানতে চাইবেন বলে সূত্রের খবর। তাছাড়া এখানের ক্যাম্পাসের সামগ্রিক অবস্থা এবং ছাত্র মৃত্যুর পরের পরিবেশ সরেজমিনে খতিয়ে দেখারও চেষ্টা করবেন তাঁরা। ইউজিসি’র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে কয়েকদিন বলেও জানা যাচ্ছে। এখানে বসতে চলেছে সিসিটিভি এবং র্যাগিং রুখতে ইসরোর সাহায্য নেওয়া হবে।