এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ নিয়ে বিরোধিতার পথে নামলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ লগ্নে। সেটা নিজে চোখে দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিনের দিঘা সফর শেষে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ওই মন্দির উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা চিৎকার জুড়ে দিয়েছেন। যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
আর এই শুভেন্দু–কুণালের বাকযুদ্ধে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি। দিঘায় তৈরি জগন্নাথ মন্দির নিয়েও রাজনৈতিক তরজা উচ্চগ্রামে পৌঁছে গেল। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কাগজপত্রে কোথাও মন্দিরের উল্লেখ নেই। সাংবিধানিকভাবে কোনও সরকার এক্সচেকারের টাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজও দাঁড়িয়ে যা যা বলেছেন সেটা ভণ্ডামি ও মিথ্যাচার। আমি একজন জগন্নাথ দেবের ভক্ত হিসেবে বলতে চাই, চারধামের একধাম পুরী ধাম। একে নকল করবেন না। এই অধিকার কোনও হিন্দু আপনাকে দেয়নি। কেদার–বদ্রীর বিকল্প হয় না। গীতাকে পালটানো যায় না। অভিনন্দনকে শুভনন্দন করতে পারেন। কিন্তু পুরী ধামের নকল মন্দির করতে পারেন না। সাহস কোথা থেকে হয় এসবের?’
আরও পড়ুন: পুরীর খাজা বিখ্যাত, দিঘার জগন্নাথ ধামে কী মিলবে? সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন পুরী মন্দিরের মতো দিঘাতেও জগন্নাথ দেবের মন্দির হচ্ছে। পুরীর মতোই দেখতে হবে। কিন্তু পুরীর নকল করে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির হবে সেটা বলেননি কখনও বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দাবি। সমুদ্র এবং জগন্নাথ মন্দির তিনি একসঙ্গে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে চান। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, ‘ঈর্ষা থেকেই এসব করছেন বিরোধী দলনেতা। দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মুখ্যমন্ত্রী তা দেখতে গিয়েছেন। তার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা কটাক্ষে নেমেছেন। জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি হচ্ছে তা নিয়েও কটাক্ষ! এত ঈর্ষা কীসের?’
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়ে গেলে পর্যটন ক্ষেত্রে নয়া পালক যোগ হবে বাংলায় বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে রাজ্যে পর্যটকরা আসবেন। বাংলার আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। এটাকেই পুরীর নকল বলে কটাক্ষ করছেন শুভেন্দু বলে দাবি কুণালের। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ে ওঠা নিয়ে কুণাল ঘোষের কথায়, ‘বাংলার যা আকর্ষণ তাতে এই তীর্থক্ষেত্র গোটা পৃথিবীর কাছে রাজ্যের মাথায় নতুন পালক যোগ করবে। এত ঈর্ষা কীসের? এই রাজ্যে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সব ধর্মের জন্য উপাসনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথ দেবের সুন্দর মন্দির করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপনাদের গায়ে কি ফোসকা পড়ছে? এসব বিরোধী দলনেতার ছেলেমানুষী। পুরোটাই মেকি। বাংলার এই গর্ব ওরা সহ্য করতে পারছে না।’