ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার 'রিপোর্ট না পেয়ে' ক্ষোভপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সরকারের এই অবস্থান নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার ঘটনা নিয়ে তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করে টুইট করেছেন। রাজ্যপাল নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি তাঁর টুইটারে লেখেন, ‘রাজ্যের ভোট-পরবর্তী হিংসার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনও উপযুক্ত তথ্য দিতে পারেননি রাজ্যের মুখ্যসচিব।’ তিনি আরও লেখেন, ‘ খুবই দুঃখজনক বিষয় আমি মুখ্যসচিবকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা দু’জনেই এই সংক্রান্ত কোনও উপযুক্ত নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে আসেননি। সেক্ষেত্রে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট অবিলম্বে আমার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছি। আশা করছি এবার এর উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া পাব।’
শনিবার ভোট-পরবর্তী হিংসায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজভবনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এরপর রাজ্যপাল মুখ্যসচিবের কাছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু রাজ্যপালের অভিযোগ, এই বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি মুখ্যসচিব। তিনি জানান, দুঃখজনক বিষয় তাঁরা দু’জনেই এই সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র সঙ্গে করে আনেননি। তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁদের নির্দেশ দেন, যাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নথিপত্র তাঁকে দ্রুত পেশ করা হয়।
শনিবার সকালে টুইটারে ধনখড় বলেছিলেন, 'রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (সরকারের) মুখ্যসচিবকে আজ সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে তলব করেছি। গত ৩ মে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারের রিপোর্টও পাঠাননি। যা তাঁকে গত ৩ মে পাঠানো হয়েছিল।' তারপরই ‘ছোটো বোন’ মমতার (মমতা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের দিন বলেছিলেন) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন ধনখড়। বলেছিলেন, 'সংবিধানে বিধিবদ্ধ প্রশাসনের নিয়ম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরকম সরে যাওয়ার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক এবং তাতে চোখ বন্ধ করে থাকা যায় না। রাজ্য যখন সবথেকে গুরুতর ভোট-পরবর্তী হিংসার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন সাংবিধানিক প্রধানের কাছে কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।'