রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দিল্লিতে যাওয়ার আগে চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, রাজ্যে লাগাতার নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী নীরব ও নিষ্ক্রিয়। যেদিন রাজ্যপালের তরফে রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে এই মারাত্মক অভিযোগ করা হচ্ছে, সেদিন বিজেপির তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই একই অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এদিন দিল্লিতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপালের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও তাঁর কথা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন দিল্লিতে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল জানান, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা, রক্তপাত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা অব্যাহত। চলছে লাগাতার নারী নির্যাতন ও বিরোধীদের সম্পত্তি ধ্বংস। অথচ গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী আশ্চর্যজনকভাবে নীরব ও নিষ্ক্রিয়। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরেও মন্ত্রিসভায় একদিনও আলোচনা করেননি। দুর্গতদের স্বার্থে কোনও পদক্ষেপও করা হয়নি।একইসঙ্গে রাজ্যপাল লিখেছেন, এভাবে মানবাধিকার ও মর্যাদা লঙ্ঘন গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার।আইন অনুযায়ী প্রশাসন ও পুলিশের পদক্ষেপ করা উচিত। কিন্তু তেমন কিছু ঘটছে না।দুর্গতরাই প্রশাসন ও পুলিশকে ভয় পাচ্ছেন। একইসঙ্গে রাজ্যপাল জানান, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হোক। আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণ করার আগে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে।তখন কিছু আক্রান্ত হয়েছিল।তৃণমূল কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছিল।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রাশ টেনে ধরার পর সেটা বন্ধ হয়েছে। যদি কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তালিকা দিন।এই প্রসঙ্গে অবশ্য পাল্টা টিপ্পনি কাটতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ।তিনি জানান, রাজ্যপালকে হজম করতে পারছে না তৃণমূল। রাজ্যপালকে আটকাতে পারছেন না তাঁরা।