একদিকে কংগ্রেস অন্যদিকে বামফ্রন্ট—এই দুই পক্ষকেই তুলোধনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ইউপিএ’র কোনও অস্তিত্ব নেই, নেতৃত্ব কারও স্বর্গীয় অধিকার নয় থেকে কংগ্রেস ডিপফ্রিজে বলে কটাক্ষ করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসের নিশানায় পড়ল সিপিআইএম।
একুশের নির্বাচনে তাঁরা গোহারা হয়েছে। জোট করেও একটি আসন পায়নি তাঁরা। বিধানসভায় নেই বামেরা স্বাধীনতার পর এই প্রথম। বিধানসভা থেকে লোকসভা—সবেতেই তাঁদের নিট ফল শূন্য। অথচ একসময় বাংলায় ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল বামেরা। এই ভাষাতেই বামেদের আক্রমণ করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রে। তাঁদের খোঁচা দিয়ে বলা হয়েছে, নিজেদের নাম জাদুঘরে খোদাই করে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বামেরা।
ঠিক কী লেখা হয়েছে? শনিবার ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন বহু বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি সাদা বাড়ি, যাকে কলকাতার মানুষ জাদুঘর হিসেবেই জানেন। সেই জাদুঘরেই নিজেদের নাম খোদাই করে রাখার জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়েছে রাজ্যের বামেরা। ২৩৬ থেকে এখন তারা আক্ষরিক অর্থেই শূন্য। বিধানসভায় শূন্য। লোকসভায় শূন্য। কলকাতা পুরসভা নির্বাচন শেষ হলে সেখানেও বিগ জিরো নিশ্চিত। পঞ্চায়েতেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি।’
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বামেরা যে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করেছে সে কথাও বলা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। তাই বিষয়টি নিয়ে খোঁচাও দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভরাডুবির পরেও সিপিআইএম নেতাদের চেতনার এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। শরিকদের হুমকি উপেক্ষা করে কংগ্রেসের জন্য বেসরকারিভাবে আসন ছেড়ে নিজেদের জেদ বজায় রেখেছে। জেদের রেজাল্ট আলিমুদ্দিনও জানে, জানে বিধান ভবনও।’ এক্ষেত্রে কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।