মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে না দেওয়ায় মোবাইল ফোন ছু়ড়ে ফেলে দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আদালতে এমনই জানালেন তাঁর আইনজীবী। চার দিনের সিবিআই হেফাতজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবার তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে এই দাবি করেন জীবনকৃষ্ণর আইনজীবী।
এদিন আদালতে জামিনের আবেদন করে জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী দাবি করেন, আমার মক্কেল নির্দোষ। তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে তল্লাশিতে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। যাতে স্পষ্ট তিনি চাকরির বিনিময়ে টাকা লেনদেনে যুক্ত। এর পর বিচারক জানতে চান, মোবাইল ফোন পুকুরে ফেললেন কেন? জবাবে জীবনকৃষ্ণর আইনজীবী বলেন, জীবনকৃষ্ণর মেয়ে শিলিগুড়িতে পড়াশুনো করে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলে সে। ঘটনার দিক সন্ধ্যায় মেয়েকে ফোন করার জন্য সিবিআই আধিকারিকদের কাছে ফোন চান জীবনকৃষ্ণ। কিন্তু সিবিআই আধিকারিকরা ফোন না দেওয়ায় রাগে ফোন ফেলে দেন তিনি। এর পর বিচারক জানতে চান, ফোন পুকুরেই ফেললেন কেন? যদিও তার কোনও জবাব দিতে পারেননি জীবনকৃষ্ণ।
এদিন সিবিআইয়ের তরফে জীবনকৃষ্ণকে ফের হেফাজতে চাওয়া হয়। আবেদনের ভিত্তিতে জীবনকৃষ্ণকে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত শুক্রবার দুপুরে জীবনকৃষ্ণর আন্দির বাড়িতে পৌঁছেছিল সিবিআই। তিন দিন ম্যারাথন জেরার পর সোমবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। এর পর কলকাতায় নিয়ে এসে তাঁকে আদালতে পেশ করেন তাঁরা। শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন জীবনকৃষ্ণর ফোন ২টি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। সিবিআইয়ের হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পাঁচিল টপকে ফোনদুটিকে বাড়ির পিছনের পুকুরে ছুড়ে মারেন বিধায়ক। প্রায় ৬৬ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে পুকুর থেকে ফোন উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই।