বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না জিতেন্দ্র তিওয়ারির। একুশের নির্বাচনের রণনীতি কী হবে তা নিয়ে বাইপাসের ধারের একটি হোটেলে সোমবার বৈঠক ছিল বিজেপি’র। সেদিন রাতেই সেই হোটেল থেকে সপরিবারে বের হতে দেখা গেল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে! আর তারপর থেকে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। তবে বিষয়টি কাকতালীয় বলেই দাবি আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের ২৯৪টি আসন নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার বৈঠক শুরু হয়েছে বাইপাসের ধারের ওই হোটেলে। ওই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়–সহ বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্ব। ওই বৈঠকের ফাঁকেই আজ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, শান্তনুকে সিএএ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নিষেধ করেছে দল। পাঁচতারা হোটেল থেকে বেরতে দেখা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি, তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে। যে হোটেলে সাংগঠনিক বৈঠক চলছে বিজেপি’র সেখানে জিতেন্দ্র তিওয়ারির উপস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সভা করেছেন তিনি। শীঘ্রই দলের কাজে ফিরবেন। পরিবারের সঙ্গে খেতে ওই হোটেলে এসেছিলেন। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘দলের বৈঠকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে জানানোর বা তাঁর থাকার কোনও প্রশ্ন নেই। কারণ উনি দলের কেউ নন। কেন এসেছিলেন কোথায় এসেছিলেন আমাদের জানা নেই।’ একই হোটেলে বিজেপি’র বৈঠক ও তাঁর খেতে আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জিতেন্দ্র বলেন, বিজেপি’র বৈঠক নিয়ে কিছু জানি না। কিছু বলার নেই।
উল্লেখ্য, তিনি আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়কের পথে হেঁটে কিছুদিন আগে লাগাতার দলের বিরুদ্ধে, পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীতে তৃণমূল ত্যাগও করেছিলেন তিনি। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লেখাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাবুল সুপ্রিয়–সহ একাধিক নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির এই বিজেপি যোগের জল্পনাকে ভালভাবে নেননি। এই পরিস্থিতিতে আচমকা ভোলবদল করে তৃণমূল ফিরে যান জিতেন্দ্র। প্রায় ১১ দিন ঘরবন্দি ছিলেন তিনি। জিতেন্দ্রকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পালকে শোকজ করে দল।