জওহরলাল নেহেরুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে সভা করার অনুমতি দিল না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার ঐশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছলে দেখা যায় বিশ্ব বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ। এর পর গেটের সামনেই সভা করেন ঐশী।
বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই-এর আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল ঐশীর। কিন্তু বহিরাগত কারও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর রাজনৈতিক সভা করা প্রথাবিরুদ্ধে বলে জানিয়ে সভার অনুমতি দেয়নি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও এদিন সভা করার চেষ্টা করে বামপন্থী ছাত্ররা। কিন্তু তারা পৌঁছনোর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বন্ধ গেটের সামনে দাঁড়িয়েই বক্তব্য রাখেন ঐশী। বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মতবিনিময়ের জায়গা, তর্ক বিতর্কের জায়গা। সেখানে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ মত রাখলে তা প্রথাবিরুদ্ধ হতে পারে না। আমাদের লড়াই শুধুমাত্র বিজেপি ও আরএসএস-এর বিরুদ্ধে। এবার পক্ষ নেওয়ার সময় এসেছে।
এর পরই নিজের কায়দায় বিজেপি ও RSS-কে আক্রমণ করতে শুরু করেন তিনি। বলেন, ‘বিজেপি আরএসএস পড়ুয়াদের ভয় পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে দেশ বিরোধীতা বলছে তারা। আমরা ধর্মের নামে রাজনীতি করতে দেব না। হিন্দু, হিন্দি, হিন্দুস্তানের চক্রান্তকে ব্যর্থ করবে ছাত্রছাত্রীরাই। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হতে হবে।’
এদিন ঐশীর সভা ঘিরে পড়ুয়াদের উত্সাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এসএফআইয়ের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সভা করতে না দিয়ে তৃণমূল সরকার প্রমাণ করল বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে তাদের।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সভা করতে না দেওয়ার কারণ অন্য। তাঁরা বলছেন, এমনিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৃণমূলের সমর্থন বরাবর তলানিতে। অনেক চেষ্টা করেও যাদবপুর – প্রেসিডেন্সির মতো প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁত ফোটাতে পারেনি শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে ফের ক্যাম্পাসে বামপন্থী আন্দোলনের ঢেউ উঠলে ভিটেমাটি হারাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে ঐশীকে ক্যাম্পাস থেকে দূরে রাখল তারা।