জেলায়-জেলায় চাকরি বিলি করেছেন ‘দাদামণি’। এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ‘দাদামণি’ কে, তা খোলসা করেননি মোদী। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতার নিশানায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী।
সোমবার বিধানসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ান মমতা। সেইসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ শানান। মমতা বলেন, 'দাদামণি তো চাকরি দিয়েছেন। সেটার হিসেব নেবে কে? ওঁদের ধরবে না সিবিআই? মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের মতো জায়গায় চাকরি দিয়েছেন দাদামণি। পুরুলিয়াতে চাকরি না দিয়ে বঞ্চিত করেছিলেন। ওঁরা (পুরুলিয়ার চাকরিপ্রার্থী) আমার বাড়িতে এসেছিলেন, চাকরি দিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: Exclusive: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করব: বিকাশ ভট্টাচার্য
যদিও পালটা দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, ২০১৩ সালে পার্থ শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন থেকে নন্দীগ্রামের জন্য একটি ব্ল্যাকবোর্ডও চাননি। পার্থের কাছে কখনও চাকরি পাইয়ে দেওয়া বা বদলির আবেদন করেননি। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, মমতা যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন বলে জানান শুভেন্দু।
পার্থের পাশে মমতা
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বেলাগাম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে সোমবার বিধানসভায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থের পাশে দাঁড়ান মমতা। তিনি স্পষ্ট করে দেন, এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কয়েকটি ‘ভুল’ হয়ে গিয়েছিল। যেটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলেও জানান মমতা। তাঁর কথায়, 'লাখখানেক চাকরির মধ্যে ৫০ থেকে ১০০ টা কেসে ভুল তো হতেই পারে।'
সঙ্গে মমতা আশ্বাস দেন, যে 'ভুল' হয়েছে, তা শুধরে নেবে রাজ্য সরকার। সেজন্য রাজ্যকে সময় দিতে হবে। রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের তাঁর সরকারই চাকরি দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। তাঁর আশ্বাস, বেকারদের চাকরির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকলে তা রাজ্য সরকার মিটিয়ে দেবে।