কলকাতার যোগেশ চন্দ্র ল কলেজে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে। এরপর সেই ঘটনার জল গড়িয়েছিল হাই কোর্ট পর্যন্ত। শেষে পুলিশি নিরাপত্তায় সেই কলেজে সরস্বতী পুজো হয়েছিল। পুজোর দিনে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি সেখানে পৌঁছতেই উঠেছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। মন্ত্রীর সামনেই কলেজের এক ছাত্রী কেঁদে ফেলেছিলেন। সেই ঘটনায় তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষের দাবি ছিল, সেই ছাত্রী 'নাটক করছেন'। যদিও এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলে অভিযুক্তের গ্রেফতারির পক্ষেই সওয়াল করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। (আরও পড়ুন: ডিগবাজি বিস্ফোরক মদনের, 'পদ বিক্রির অভিযোগ' ইস্যুতে চিঠি বক্সীকে, মিত্র লিখলেন…)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২৩ সংখ্যালঘুকে খুনের অভিযোগ, 'সাম্প্রদায়িক হিংসা না',বলল ইউনুসের সরকার
যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের ঘটনা নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'এই ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে। আজকাল আমি দেখছি এগুলো ফ্যাসন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হুমকি দেওয়া ও বলার মনোবৃত্তি আসবে কেন? বাংলার সংস্কৃতিতে আমরা মহিলাদের দেবী রূপে পুজো করি। তাঁদের ব্যাপারে এই সব চিন্তা করাটাও পাপ। এই ধরনের মনোবৃত্তি থাকবে কেন? পুজো নিয়ে রেষারেষি অসভ্যতা। সরস্বতী পুজো মানেই আনন্দ। সেখানে এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটবে?' নিজের মন্তব্যে সাব্বিরের নাম না নিলেও তিনি সেদিকেই ইঙ্গিত করে থাকতে পারেন বলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। (আরও পড়ুন: HC নাকি SC, কোথায় মামলা চালাতে চান? CJI-কে চিঠি আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবার)
আরও পড়ুন: ফের দক্ষিণবঙ্গে নামবে পারদ, কতদিন থকবে এই হালকা শীতের আমেজ?
উল্লেখ্য, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দিয়ে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছ অধ্যক্ষের কাছেও। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো না করতে হুমকি দেন তৃণমূলি দুষ্কৃতী সাব্বির আলি। পুজোর আয়োজন হলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন তিনি। বলেন, রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। মেয়েদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব। প্রসঙ্গত, এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে গুন্ডাগিরির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। এর পর সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাই কোর্ট। কিন্তু তার পরও সাব্বির ও তার দলবল ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নিজে খোঁজখবর করতে শুরু করেন। খোদ শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছিলেন বলে সূত্রের খবর।