অফলাইন নাকি অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনটা আদর্শ পথ? কোভিড অতিমারি বার বারই এই প্রশ্ন উসকে দিয়েছে। এনিয়ে কী বলছেন রাজ্য জয়েন্টের কৃতীরা। জয়েন্টে প্রথম দশের মধ্য়ে থাকা অনেকেই অনলাইনের পক্ষে সওয়াল করছেন। কারন তাঁদের যুক্তি অনলাইনে ক্লাস হলে সময় অনেকটাই বাঁচে।
কৃতীদের দাবি, অফলাইনে ক্লাস হলে যাতায়াতের জন্য প্রচুর সময় চলে যায়। সেই সময়টা তাঁরা পড়াশোনার কাজে লাগিয়েছেন। তবে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী শিলিগুড়ির হিমাংশু শেখর জানিয়েছেন তিনি অফলাইনের পক্ষেই রয়েছেন। কারন অফলাইনে সরাসরি শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে।
জয়েন্টে চতুর্থ জাহ্নবী সাউ জানিয়েছেন, অনলাইনে ক্লাস হলে সময় অনেকটাই বাঁচে। সেকারনে অনলাইনে পড়াশোনা ভালো লাগত। জয়েন্টে ষষ্ঠ সৌম্যপ্রভ দে জানিয়েছেন, আমিও অনলাইনে পড়াশোনার পক্ষে। কৃতীদের অধিকাংশেরই মত অনলাইনে ক্লাস হলে কলেজে বা কোচিং ইনস্টিটিউটে যাওয়ার জন্য সময় নষ্ট করতে হয় না। সেই সময়টা পড়াশোনাতে ব্যয় করা যায়। প্রথম স্থানাধিকারী হিমাংশু শেখর জানিয়েছেন, অনলাইনে পড়াশোনার জন্য এই সাফল্য পেলাম। প্রস্তুতির সময় পেয়েছি।
এদিকে সাফল্যের চাবিকাঠিটাও জানিয়েছেন তাঁরা। প্রথম স্থানাধিকারী হিমাংশু শেখর জানিয়েছেন, দিনে ৭-৮ ঘণ্টা পড়েছি। শিক্ষকদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি উদ্যোগপতি হতে চাই। জয়েন্টে চতুর্থ জাহ্নবী সাউ জানিয়েছেন, বইগুলো খুব ভালো করে পড়েছি।
কৃতী ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, গত বছরের প্রশ্নপত্রগুলো ভালো করে সমাধান করেছি। তৃতীয় সপ্তর্ষি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ক্লাস ইলেভেন থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। আগের বারের প্রশ্নগুলোও সমাধান করেছি। মধ্যশিক্ষা বোর্ডে পড়াশোনা করা এক কৃতী জানিয়েছেন, রাজ্য জয়েন্টের সঙ্গে মধ্যশিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নের অনেক মিল রয়েছে। সেক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছিল।