শীঘ্রই চালু হতে পারে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচল। পুজোর আগেই সাড়ে ৬ কিমি পথে ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে। এবার সেফটি কমিশনারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় এই রুট। জানা গিয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বর উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের সেফটি কমিশনার লতিফ খান জোকা-তারাতলা রুটে মেট্রোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে আসবেন। এরপরই নভেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে এই রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বর জোকা থেকে তারাতলা রুটে মেট্রো লাইন পরিদর্শনে আসবেন রেলের সেফটি কমিশনার। সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র পেলেই কিছুদিনের মধ্যে এই রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মেট্রো রেলের এক উচ্চ পদস্থ কর্তা সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘লতিফ খান আগামী ১০ নভেম্বর পরীক্ষা করে গেলে শীঘ্রই লাইনের পরীক্ষাও সম্পন্ন হবে।’
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রো চালানো হয়েছিল সর্বোচ্চ ২৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে। ‘ওয়ান লাইন ওয়ান মেট্রো সার্ভিসে’ এই রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু হতে পারে এবার। জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা – এই ছ’টি স্টেশন ধরবে এই রুটে। স্বাভাবিক গতিতে মেট্রো ছুটলে জোকা থেকে তারাতলা যেতে লাগবে ১৮ থেকে ১৯ মিনিট।
এদিকে নিউ গড়িয়া-রুবি রুটেও মেট্রো পরিষেবা চালু করতেও তৎপর কর্তৃপক্ষ। কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মানে রুবি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার যাত্রাপথে থাকছে পাঁচটি স্টেশন। কবি সুভাষ, সত্যজিৎ রায়, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, কবি সুকান্ত এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। এই রুটেও ছাড়পত্রের জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে। আপাতত এই রুটেও প্রাথমিকভাবে একটি মেট্রোই ছোটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যাত্রী বাড়লে ভবিষ্যতে মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানো হবে।