বাঙালির আবেগ, বাঙালির মননের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রবি ঠাকুরের জোড়াসাঁকো। এই জোড়াসাঁকোর একটি অংশই রবীন্দ্রভারতীয় ক্যাম্পাস হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আর সেই ঐতিহ্যবাহী ভবনেই অনুপ্রবেশ করেছিল তৃণমূল। অভিযোগ এমনটাই। রীতিমতো হোর্ডিং টাঙিয়ে তৃণমূলের শাখা সংগঠনের অফিসও তৈরি হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির নামে খোলা হয়েছিল অফিস। সেখানে একেবারে জাঁকিয়ে বসতেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। মিটিং, গল্প গুজব সবই চলত ওই ঘরে বসেই। একেবারে ঝা চকচকে করে ফেলা হয়েছিল ঘরটিকে। দলীয় নেতাদের হম্বিতম্বিও ভেসে আসত এই ঘর থেকে। তবে অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে খোলা হল ঘাসফুলে হোর্ডিং।
জোড়াসাঁকো ভবনটিকে হেরিটেজ হিসাবেই গণ্য করা হয়। কিন্তু সেসবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানেই তৈরি হয়েছে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের অফিস।অভিযোগ এমনটাই। এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই আদালত নির্দেশ দেয়। আর তার জেরে আপাতত খুলে ফেলা হল হোর্ডিং। মামলাকারীর তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ঘরে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কবিগুরু। সেই ঘরে রবি ঠাকুরের ছবির দুপাশে মমতা আর অভিষেকের ছবি।
আগাগোড়া লাল রঙের বিল্ডিং। আর তারই একাংশে জ্বলজ্বল করছিল ওই অফিসটি। তার মধ্যে দলীয় নেতৃত্বের ছবি। এমনকী ওই অংশের রঙও বদলে ফেলা হয়। কিন্তু হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের রঙ বদলে ফেলা হল কীভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকেই। তবে শাসকদলের সমর্থকদের এই আচরণে আঘাত পেয়েছেন রবীন্দ্রপ্রেমী অনেকেই। তবে স্বস্তির একটাই যে অবশেষে রবি ঠাকুরের বাড়ি থেকে সরানো হল শাসক দলের প্রভাবিত সংগঠনের হোর্ডিং। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘর সম্পর্কে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। তবে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, আমরা ভাঙাচোরা কিছু করিনি। আগে ফেডারেশন বিরোধীরা সামগ্রিক পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।