রাজ্যস্তরে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ বরদাস্ত করবে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে একথা স্পষ্ট করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।
গত সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ সফর সেরে গিয়েছেন অমিত শাহ। তার পরই রাজ্যে সংগঠনের হাল নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। বিশেষ করে দলের আন্দোলনহীনতার জেরে কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন বলে মনে করছেন তাঁরা। সেজন্য ব্লকে ব্লকে কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন নড্ডা। তৃণমূলের দুর্নীতি তুলে ধরে সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বলেছেন দলের রাজ্য নেতাদের। এর ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীরা সক্রিয় হবেন বলে আশা দিল্লির নেতাদের।
একই সঙ্গে দলে গোষ্ঠীকোন্দল রোধে কড়া বার্তা দিয়েছেন নড্ডা। তিনি জানিয়েছেন, মতবিরোধ থাকলেও দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে পারবেন না। এর ফলে দলীয় কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় সাংসদ সুভাষ সরকারের বাসভবনে রীতিমতো হাট বসে যায়। নিজেদের অভিযোগ জানাতে থাকেন দলের সাংসদরা। এই নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ থাকলে আশা করি মিটে যাবে। বঙ্গ বিজেপিতে কোনও কোন্দল নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’