আদালতের নির্দেশের পরেও যোগ্য প্রার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়োগ না দেওয়ায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিশনারের বিরুদ্ধে রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার আদালত অবমাননার মামলায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিশনারের বিরুদ্ধে রুল জারি করে তাঁকে আদালতে তলব করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ২২ জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
২০০৯ সালে বাম জমানায় হওয়া প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে ২০১০ সালে শুরু হয়েছিল নিয়োগপ্রক্রিয়া। কিন্তু ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে সেই প্যানেল বাতিল করে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর পর ২০১৫ সালে হয় প্রাথমিক টেট। সেই টেটের ভিত্তিতে শুরু হয় নিয়োগ। ওদিকে নিয়োগ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বাম জমানায় প্যানেলভুক্তরা। সেই মামলায় গত এপ্রিল মাসে যোগ্যদের ২ মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ, তার পর বছর ঘুরতে চললেও তাদের কেউ চাকরি পাননি। এর পর রাজ্যের শিক্ষা অধিকার্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ২২ জানুয়ারি তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মামলাকারীরা জানাচ্ছেন, ৮৭৮ জন যোগ্য প্রার্থীদের বছরের পর বছর বঞ্চিত করে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাদের অপরাধ তারা বাম জমানায় নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছিলেন। ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল তাদের বঞ্চনার অবসান ঘটাতে নিয়োগের নির্দেশ দেয় আদালত। ২ মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তার পর বছর ঘুরতে চললেও এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার। এতে স্পষ্ট, আদালতের নির্দেশকে পরোয়া করে না তারা।