কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতোদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ করেছিল নবগঠিত ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। সেই সংগঠনের আহ্বায়ক শ্রীশ চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অন্যায় ঘটে চলেছে। তিনিই দাবি করেছিলেন, নির্যাতিতার নামে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন ফ্রন্টের জুনিয়র ডাক্তাররা। এহেন শ্রীশ চক্রবর্তীর একটি ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, থ্রেট কালচারের অন্যতম অভিযুক্ত অভীক দে এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে আছেন তিনি। দাবি করা হচ্ছে, সন্দীপদের ঘনিষ্ঠ এই শ্রীশ। (আরও পড়ুন: প্যান ডি থেকে শেলকাল, প্রকাশিত নিম্নমানের ওষুধের পূর্ণাঙ্গ তালিকা, দেখুন একনজরে)
আরও পড়ুন: লাদাখের বদলে অরুণাচলে চিনকে ছুট? সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিস্ফোরক দাবি ওয়াইসির
আরও পড়ুন: কোন অঙ্কে LAC নিয়ে চিনকে 'ঝুঁকতে বাধ্য করেছে' ভারত? সমীকরণ বোঝালেন জয়শংকর
এদিকে গতকাল আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ফ্রন্টের গণ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেও এই নয়া 'অ্যাসোসিয়েশন'-এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠে। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, 'পালটা অ্যাসোসিয়েশন খোলা এই ডাক্তাররা এতদিন কোথায় ছিলেন? কেন সামনে আসেননি তাঁরা?' এদিকে সরকারকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই হুমকির সংস্কৃতিকে 'দুঃখজনক' আখ্যা দিলেও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপে অনীহা রয়েছে সরকারের। আর দেবাশিস হালদার তো সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বলেছেন, 'বৈঠকে মনে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এই থ্রেট কালচারের পক্ষ নিচ্ছেন। তাই এবার আমাদেরও সময় এসেছে পক্ষ নেওয়ার। থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের গঠিত অ্যাসোসিয়েশনের দিকে না কি অন্য পক্ষে।' প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, 'থ্রেট কালচার' চালানোর অভিযোগে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫১ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছিলেন। তা নিয়ে গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন নবান্নের বৈঠকে। পরের দিন কলকাতা হাই কোর্ট আরজি করের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয়।
এদিকে আরজি করে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত সেই ৫১ জনের অনেকেই রয়েছেন নবগঠিত ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনে। সেই সংগঠনেরই আহ্বায়ন শ্রীশ চক্রবর্তী। তিনি অভিযোগ করেছেন, 'নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেতরা। আমাদের বিরুদ্ধে যে অন্যায় ঘটে চলেছে, সেই অন্যায়ের জন্য যে মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতি হয়েছে সেটার একটি প্রমাণ বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরতে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।' সাংবাদিক বৈঠকে আজ জুনিয়র ডাক্তার শ্রীশ বলেন, 'আমরাই প্রথম নির্যাতিতা দিদির বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, কর্মবিরতি মানব না। রোগী পরিষেবা অক্ষুন্ন রেখে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তখনই আমাদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আনা হয়।'
শ্রীশের অভিযোগ, 'আমাদের সবার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে ব্যান করে দেওয়া হয়। আমরা নাকি থ্রেট কালচার চালাই। এই থ্রেট কালচারের বিনিময়ে আমাদের জুনিয়র ডাক্তার এবং স্টুডেন্টদের ডিউটি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। আমাদের কলেজে ঢোকা বারণ হয়ে যায়। অনিকেত মাহাতোরা আমাদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আমাদের নটোরিয়াস ক্রিমিনাল বলা হয়! যারা নির্যাতিতা দিদির বিচারের নামে ৪.৭৫ টাকা তুলেছে। ওরা কি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল নয়? অনিকেত, দেবাশিসরা আন্দোলনকে বেলাইন করেছে। রিয়া বেরার বিরুদ্ধেও সেক্সচুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ রয়েছে।'