ফের রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পূর্ণ কর্মবিরতি করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর টানা ৮ ঘণ্টার দীর্ঘ জেনারেল বডি বৈঠ বসেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরপর চিকিৎসকদের তরফ থেকে মোট দশ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। সেই দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এই আবহে পুজোর আগে সরকারের ওপর ফের নতুন করে চাপ সৃষ্টি হল। উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহের ঘটনার জেরে পানিহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যেই কর্মবিরতি চলছে। (আরও পড়ুন: হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ইস্যুতে সুপ্রিম প্রশ্নবাণ, মুখ খুললেন মুখ্যসচিব)
আরও পড়ুন: পুজো তো চলে এল, আরজি করের তদন্ত কি এগোচ্ছে? CBI-তে ভরসা আছে নির্যাতিতার বাবার?
এরই মাঝে গতকাল আবার সুপ্রিম কোর্ট কাজে ফেরার বার্তাই দিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। তবে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে রাজ্য জুড়ে নতুন করে পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জিবি বৈঠক শেষে চিকিৎসকদের দাবি, রাজ্যের তরফ থেকে বার বার নিরাপত্তার আশ্বাস মিলেছে। কিন্তু নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। গতকাল সুপ্রিম কোর্টেও এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে রাজ্যকে। আর তারই মাঝে জিবি বৈঠক শেষে ১০ দফা দাবি জানিয়ে সরকারকে চরম চাপে ফেললেন জুনিয়র ডাক্তাররা। (আরও পড়ুন: আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন মামলায় CBI আইনজীবীর 'কাজ' করে দিলেন বিচারকই!)
আরও পড়ুন: আরজি কর আবহে এবার FIR তৃণমূল বিধায়কের নামে, বিতর্ককে লঘু করার চেষ্টা কুণালের
জুনিয়র ডাক্তাররা যে ১০ দফা দাবি পেশ করেছেন:
- নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার দিতে হবে
- স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ
- হাসপাতাগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে
- সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করতে হবে
- হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে
- ছাত্র সংসদ নির্বাচন করাতে হবে
- হাসপাতালগুলিতে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে
- হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে
- দ্রুত সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি
- প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে
আরও পড়ুন: 'ডাক্তাররা যে ইস্যুতে কর্মবিরতি ঘোষণা করছে…', আন্দোলনে মত আছে নির্যাতিতার বাবার?
এদিকে এর আগে সুপ্রিম শুনানি নিয়ে গতরাতে অনিকেত মাহতো বলেছিলেন, 'শুনানির জায়গা থেকে এটাই বলার, প্রকৃত দোষী কারা? এই ঘটনার মোটিভ কী ছিল ? এই জায়গাটা সুস্পষ্টভাবে সামনে আসা উচিত। পরিষেবা শুরু করতেই পারি। সুপ্রিম কোর্ট এটাও বলেছে, জুনিয়র ডাক্তার এবং রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে একটা কনফিডেন্স বিল্ডআপ করার প্রচেষ্টা করতে হবে। সেফটি সিকিউরিটির প্রশ্নে সুনির্দিষ্টভাবে চিফ সেক্রেটারির সঙ্গে যে আলোচনা হয়ছে, যে নির্দেশ এসেছে, তার বাস্তবায়িত রূপ আমরা দেখতে চাইছি।'