বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > হবু ডাক্তারদের মারামারিতে রণক্ষেত্র আরজি কর হাসপাতাল, ফাটল মাথা

হবু ডাক্তারদের মারামারিতে রণক্ষেত্র আরজি কর হাসপাতাল, ফাটল মাথা

হবু ডাক্তারদের মারামারিতে রণক্ষেত্র আরজি কর হাসপাতাল

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সবাই অবাক হয়ে গিয়েছেন। এই মারামারির জেরে কারও মাথা ফেটেছে, কারও হাতে চোট লেগেছে বলে খবর।

নিজেদের মধ্যে মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি হলেন হবু ডাক্তাররা। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হবু ডাক্তাররা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সবাই অবাক হয়ে গিয়েছেন। এই মারামারির জেরে কারও মাথা ফেটেছে, কারও হাতে চোট লেগেছে বলে খবর।

ঠিক কী ঘটেছে আরজি কর হাসপাতালে?‌ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার এখানে পরীক্ষা ছিল। আর পরীক্ষার পরই একদল চিকিৎসক পড়ুয়ারাই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তাতেই অনেকে জখম হয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, এই চিকিৎসক পড়ুয়াদের দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনও একটি ইস্যু নিয়ে মতান্তর হয়। আর তা থেকেই মারামারি।

কেন এই মারামারি হল?‌ সূত্রের খবর, এখানে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। পাঁচ মাস আগে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে এখানে আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনের পক্ষে–বিপক্ষে আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে যায় দুটি গোষ্ঠী। এই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যেই মারামারি হয়েছে। যারা অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পক্ষে ছিল তারাই বিপক্ষের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, আন্দোলনের অন্যতম মুখ ইন্টার্ন মৈনাক রায়কে মারধর করেন অধ্যক্ষের পক্ষে থাকা ডাক্তারি পড়ুয়ারা। প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে পোস্টার পড়ে। এমনকী রাতেই ফের হামলার অভিযোগ ওঠে। জুনিয়র চিকিৎসক অভিষেক রায়ের অভিযোগ, ‘‌শনিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় একদল গিয়ে সিনিয়র অর্থো-পিজিডিকে ঘেরাও করেন। মারধরের হুমকি দেন। গালিগালাজ করেন। এমনকী হস্টেলের বাইরে গেলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেওয়া হবে বলা হয়।’‌ এই ঘটনা নিয়ে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘‌চন্দ্রমৌলি ঝাঁ একজন ইন্টার্ন ডাক্তার। সে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমি জানতে গিয়েছিলাম প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছে। যেখানে মারধর করা হয় সেখানেও গিয়েছিলাম। দু’জন ডাক্তারবাবুর গাড়িও ভেঙে দিয়েছে।’‌

বন্ধ করুন