থ্রেট কালচার সহ একাধিক বিষয় নিয়ে এবার কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে পক্ষ করে আদালতে দ্বারস্থ হলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন রেসিডেন্স ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই মামলা করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যেই সাগর দত্তে থ্রেট কালচারের ঘটনায় ১১ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাছাড়াও এক গুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও মামলা করায় অবাক হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: SC-তে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি রাজ্য, সাগর দত্ত কাণ্ডে বিস্ফোরক ডাক্তাররা
মামলায় জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন সাগর দত্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে একের পর এক করা পদক্ষেপ করা হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করার পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বর পুরো সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। জুনিয়রদের দাবি ছিল, নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। সেইমতো হাসপাতালে আগে যে সংখ্যক সিসি ক্যামেরা ছিল তার দ্বিগুণেরও বেশি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এছাড়াও জুনিয়রদের দাবি মতো অতিরিক্ত পুলিশ এবং সুরক্ষা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের ডিউটি রুমের বাইরেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত সংখ্যক শৌচাগার নির্মাণের পাশাপাশি ডিউটি রুমও তৈরি করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে সব রকমেরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মামলার বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তারা জানিয়েছেন, আরজি কর এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছিল। পরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল তারা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নিয়ম মেনেই ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে আদালত তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। ফলে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ যে ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা আইনসম্মত কি না আদালতে গেলে তা জানা যাবে বলে মত জুনিয়র ডাক্তারদের।
এবিষয়ে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করার পাশাপাশি যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা সবই স্বাস্থ্য ভবনকে জানিয়ে এবং তাদের নির্দেশে। আদালত কোনও নির্দেশ দিলে সেই নির্দেশ মেনে চলা হবে।