জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দিতে, বা তাঁদের আন্দোলনে রাজনৈতিক রং লাগাতে আসেননি তিনি। এসেছেন দলীয় কাজ সারতে। কিন্তু, জুনিয়র চিকিৎসকরা সেটা না বুঝেই তাঁকে দেখে 'গো ব্যাক' স্লোগান তুলেছেন! বুধবার বিধাননগরের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে ধারেকাছে দেখে 'গো ব্যাক' স্লোগান শুরু করতেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
ছ'দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন আর জি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। আগাগোড়াই তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতির কারবারিদের কোনও স্থান নেই। যে কারণে এর আগে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও আর জি করে গিয়ে 'গো ব্যাক' স্লোগান শুনতে হয়েছিল।
এবার সেই একই ঘটনা ঘটল অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে। তাঁকে দেখেই চিৎকার করে সমস্বরে 'গো ব্যাক' বলতে শোনা যায় অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকদের। যার জেরে দ্রুত পায়ে অবস্থানস্থল থেকে অন্যত্র চলে যান বিজেপি নেত্রী।
এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অগ্নিমিত্রা জানান, তাঁকে ভুল বোঝা হচ্ছে। এই আন্দোলনের প্রতি তাঁর এবং তাঁর দলের পূর্ণ সমর্থন থাকলেও তাঁরা এই আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক রং লাগাতে বা সরাসরি আন্দোলনে সামিল হতে চান না।
সকলকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সুরে অগ্নিমিত্রা বলেন, তিনি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট স্থানে তাঁর একটি পূর্ব নির্ধারিত সাংবাদিক বৈঠক ছিল। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই তিনি এসেছিলেন। কিন্তু, জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলায় দু'দিকের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই, একপ্রকার বাধ্য হয়েই আন্দোলনকারীদের মাঝ দিয়ে নিজের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।
অগ্নিমিত্রা আরও জানান, আন্দোলনকারীরা তাঁকে 'গো ব্যাক' বললেও তিনি ও তাঁর দলের প্রত্যেক সদস্য সর্বতোভাবে এই আন্দোলনের পাশে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।
একইসঙ্গে, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের ঢিমে তাল, দুর্নীতি মামলায় ধৃত সন্দীপ ঘোষকে সিবিআইয়ের হেফাজতে না নেওয়া এবং বহু চর্চিত সেটিং তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অগ্নিমিত্রা পাল্টা রাজ্য সরকার ও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।
বিজেপি নেত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, প্রথম থেকেই এই ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন ও সরকার নিয়ম মেনে তদন্ত প্রক্রিয়া চালায়নি। এই কারণেই তদন্তে নেমে সিবিআইকে একের পর এক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অগ্নিমিত্রার বক্তব্যেই স্পষ্ট, তিনি এবং তাঁর দলের সদস্যরা অন্তত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন।